শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে দাদন ব্যবসায়ী লোকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর কোপানো ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
প্রকাশ্যে এমন নগ্ন হামলার ঘটনায় এলাকায় ভিতির সঞ্চার পৌরসভার পশ্চিমশেরী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের মধ্যে নারীসহ তিনজন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এবিষয়ে ভুক্তভূগী মোঃ ছালামত মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০/৭০ ব্যক্তিকে বিবাদী করে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী এবং বিবাদীরা একই মহল্লার বাসিন্দা। শহরের পশ্চিমশেরী মহল্লার মোঃ সাজু মিয়া চাপাতলী দক্ষিণপাড়া (পাগলবাড়ী) এলাকার জনৈক দাদন ব্যবসায়ী মোঃ ডালিম মিয়া (৪৫) এর নিকট ১০ হাজার টাকা সূদে নিয়ে সেই টাকার বিপরীতে প্রায় তিনগুণ টাকা পরিশোধ করার পরও আরো ৯ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন ডালিম মিয়া। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় শতাধিক লোক মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে পশ্চিম শেরী মহল্লায় বসবাসরত সাজু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এবং পার্শ্ববর্তী তার শ্বশুর ও আত্মীয়দের তিনটি বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ৫ টি টিনের ঘর কুপিয়ে এবং ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে নারী সহ আহত হয়েছেন ৯ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে তিনজনকে সদর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন।
এবিষয়ে জানতে গিয়ে বিবাদিদের বাড়িতে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু নাইম এবিষয়ে মুঠোফোনে জানান, “অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়িঘর ভাঙচুর ও তছনছ করার ঘটনাটি খুবই অমানবিক। আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক মুঠোফোনে জানান, “এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
n/v