হারুন অর রশিদ,সোনাতলা(বগুড়া): বগুড়ার সোনাতলায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মর্মান্তিক আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক যুবক। আহত যুবক,উপজেলার মহব্বতের পাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ তুহিন বাদশা।
মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ৮ই সেপ্টেম্বর বিকালে বালিয়াডাঙ্গা অবদার বাধ চারমাথায় গোলজার আকন্দের চায়ের দোকানের সামনে চা খাওয়ার জন্য বসে তুহিন। চা খাওয়ার একপর্যায়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে বালিয়াডাঙ্গা গ্ৰামের মোঃ ইছার ফকিরের ছেলে মোঃ শিপন মিয়া সহ আরো কয়েক জন মিলে বাঁশের লাঠি,লোহার রড,সাইকেল এর ধারালো ক্রাং,ধারালো ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুহিন বাদশার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।সে সময়ে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে তুহিন বাদশা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তুহিন বাদশাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক হওয়ায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে অবস্থার অবনতি হলে শজিমেক কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাহার অবস্থার আরো অবনতি হওয়াই তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউতে ফাঁকা না থাকায় সেখান থেকে তাহাকে মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে আইসিইউতে ভর্তি করে পরিবার।
১২ই সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তুহিন বাদশার অবস্থা আরো অবনতি দেখে রিলিজ দিলে ১৩ই সেপ্টেম্বর অসহায় পরিবার তুহিন বাদশাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল এনে আইসিইউতে ভর্তি করে। তবে যেকোনো সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে পারে বলে জানিয়েছেন পিতা বিল্লাল হোসেন। সোনাতলা থানার দায়িত্বরত অফিসার এসআই খোরশেদ আলম জানান, এ মামলায় কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি এখনো তবে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও খবর...