আবদুল্লাহ আল নোমান, নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৪ ফেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনের ভোটে ১২ মেয়র ৩৩ কাউন্সিলর ও ১৩ জন মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত হলেন যারা, আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নৌকা প্রতিক নিয়ে ২ হাজার ৮ শত ০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন ইস্ত্রি প্রতিক নিয়ে ২ হাজার ৩ শত ৭১ ভোট পেয়ে ৪ শত ৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
অপরদিকে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি( বহিস্কৃত) আলমগীর সরকার ২ হাজার ৩ শত ২১ ভোট পান এছাড়াও বিএনপি মনোনীত মাহমুদুন নবী পান্না বিশ্বাস ধানের শীষের প্রতিক নিয়ে ৪ শত ৪৮ ভোট। জাতীয় পার্টির মনোনীত আলমগীর হোসেন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে ৪ শত ৯৮ ভোট। আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আফম রুকুনুল ইসলাম ডলার রেল ইঞ্জিন প্রতিক নিয়ে ৪ শত ৭৪ ভোট।
উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (বহিস্কৃত) আব্দুল খালেক জগ প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ২শত ৮৫ ভোট । পৌর আ’লীগের সম্পাদক (বহিস্কৃত) রফিউল ইসলাম কম্পিউটার প্রতিক নিয়ে ৯ শত ৩ ভোট। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি (বহিস্কৃত) নওরোজ কাউসার কানন চামচ প্রতিক নিয়ে ১ শত ৩৩ ভোট। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক সাধন বসাক নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ২ শত ৩১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এদিকে প্রতিক বরাদ্দের পর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পরেও আ’লীগ নেতা (বহিস্কৃত) ইসতেখার আলী মোবাইল ফোন প্রতিকে ৩৯ ভোট এবং সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান ৭ ভোট পান।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে যারা জয়ী হলেন,১ নং ওয়ার্ডে মো. নুর আলম উট পাখি প্রতিক নিয়ে ৬ শত ৪৭ ভোটে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জিয়াউর রহমান ২ শত ৪৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন ২নং ওয়াডে জুয়েল রানা টেবিল ল্যাম্প প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ২৮ ভোটে জয়ী হন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সেফাউল আলম সেফা ৩ শত ৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৩নং ওয়ার্ডে ইসাহাক আলী ৬ শত ৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এনামুল হক ডালিম প্রতিক নিয়ে ৪ শত ১৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৪নং ওয়ার্ডে মতিউর রহমান উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩ শত ৪৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোকসেদ আলী ডালিম প্রতিক নিয়ে পরাজিত হন। ৫নং ওয়ার্ডে আবু তালেব উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৮ শত ২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম পাঞ্জাবি প্রতিক নিয়ে ৫ শত ৪৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।৬নং ওয়ার্ডে আব্দুস রাজ্জাক পানির বোতল প্রতিক নিয়ে ৩ শত ৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আক্তারুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতিক নিয়ে পরাজিত হন। ৭নং ওয়ার্ডে রুহুল আমি উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩ শত ৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম পাঞ্জাবি প্রতিক নিয়ে পরাজিত হন। ৮নং ওয়ার্ডে শরিফুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতিক নিয়ে ৭ শত ৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইউসুফ আলী ৭ শত ৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৯নং ওয়ার্ডে মিঠুন রানা উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৪ শত ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল হাকিম ৪ শত ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে জয়ী যারা(১,২,৩) ওয়ার্ডে হালিমা আক্তার ডলি আনারস প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ৮ শত ৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনোয়ারা বেগম চশমা প্রতিক নিয়ে ৮ শত ১৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।(৪,৫,৬) ওয়ার্ডে আনরাসা আনারস প্রতিকে ১ হাজার ৬ শত ৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শিউলি বেগম জবা ফুল প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ২ শত৭১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। (৭,৮,৯) কামরুন নেছা চশমা প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ৫শত ৫৫ ভোটে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সামশুন নেহার জবা ফুল প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ১ শত ২০টি ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আখিঁ সরকার জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈল পৌরসভার ভোটে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হন। তিনি আরো জানান পৌর সভায় মোট ১৪ হাজার ৭ শত ২ ভোটের মধ্যে ভোট সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৭ শত ১৬ ভোট। ভোট বাতিল হয়েছে ২শত । এতে শতকরা উনআশি ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়েছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সবার সহযোগিতা থাকায় ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।