আব্দুল্লাহ হক (নেছারাবাদ) পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ আকার-আকৃতির পাশাপাশি, ঘ্রাণ ও ঝাঁঝে অন্যতম পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার উৎপাদিত বোম্বাই মরিচ। এসব মরিচ জাপানে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাইকাররা। নেছারাবাদ উপজেলার, আটঘর কুরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বছরের পর বছর এ বোম্বাই মরিচের চাষ হয়ে আসছে। আর জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ায় বছরে শতকোটি টাকা আয় করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
জানা যায় ১৯৮০ সালে থেকে এ অঞ্চলে বোম্বাই মরিচ চাষ হয়। স্থানীয় কয়েকজন উদ্ব্যোগতা মিলে তাদের জমিতে এসব সুগন্ধি বোম্বাই মরিচের চাষ শুরু করেন। মরিচের ফলন তুলনা মূলক বেশী ও লাভ জনক হওয়ায়, তাদের দেখাদেখি অন্যরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত বাড়তে থাকে বোম্বাই মরিচের চাষ। একই জমিতে এসব বোম্বাই মরিচ চাষের পাশাপাশি কাঁচা-মরিচ, পুঁইশাক, ফুলকপি, টমেটো, গাজর ইত্যাদি চাষ করে থাকেন তারা। বর্তমানে নেছারাবাদে পাঁচ শতাধিক মরিচ চাষী রয়েছে। কারওয়ান বাজারের বেশির ভাগ বোম্বাই মরিচ স্বরূপকাঠি থেকে সরবরাহ করা হয়। জানা যায়, প্রতিদিন ৮/১০ টি মিনি ট্রাক মরিচ নিয়ে ঢাকায় যায় । এছাড়াও স্বরূপকাঠি ও বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে মরিচ ঢাকায় পাঠানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ জানান,এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারের বেশির ভাগ বোম্বাই মরিচ স্বরূপকাঠি থেকেই সরবরাহ করা হয়।দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিয়েছে এখানকার সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ। তাই অধিক উৎপাদনের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সাহায্য এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।
নেছারাবাদ উপজেলার এ অঞ্চলে প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি জাতের বোম্বাই মরিচের আবাদ করা হয়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ৮০০শ থেকে ৯০০শ মেট্রিক-টন মরিচ উৎপাদন হওয়ার আশা করছি।