মোঃ সিরাজুল ইসলাম গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট পতিতা পল্লী থেকে পাচার হয়ে আসা ১৪ জন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ (রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহায়তায়) । গোয়ালন্দ ঘাট থানা সুত্রে জানা যায় মঙ্গলবার রাতে তিন ঘটিকার সময় পতিতালয়ে যাওয়া একব্যাক্তি (খদ্দের) এর নিকট থেকে ফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারে।
এরপর গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আব্দুল্লাহ আল তায়েবির এর নেতৃত্বে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি টিম রাজবাড়ির পুলিশের সাথে একত্রিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।প্রথমে তারা দৌলতদিয়া পতিতা পল্লির নাজমা বাড়িওয়ালীর বাড়ি পাচার হয়ে আসা তিন কিশোরী কে উদ্ধার করে।এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত বাড়ির মধ্যে তালাবদ্ধ অবস্থায় একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন গোডাউন হতে পাচারকৃত বাকি ১১ জন কিশোরী কে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে তাদের উপর হওয়া নির্মমতার চিত্র প্রকাশ করেন এবং তারা জেলা পুলিশের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন, বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর নাজমা বাড়ীওয়ালীর একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওই সব কিশোরীকে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের নাম ও পরিচয় গোপন রেখে স্ব স্ব পরিবারের কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা তারা করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা অত্যান্ত হৃদয় বিদায়ক। পাচারকারীরা কৌশলে এই সব অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে এনে বিক্রি করে। আর ক্রেতা বাড়ীওয়ালীরা এই সব কিশোরীদের উপর চালায় নির্মম নির্যাতন। এমনি পরিবেশ থেকে এই ১৪ জনকে তারা মুক্ত করতে পেরেছেন। তাদের এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাউদ্দিন, ডিআইও ওয়ান সাইদুর রহমান, গোয়ালন্দ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর, রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, ডিআইও টু প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।