গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় মালিক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন বিঘিœত
হওয়ায় জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে গেছে।
সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ট্রাক্টর মালিক
সমিতির পক্ষ থেকে পুনরায় ট্রাক্টর চলাচলের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ট্রাক্টর মালিক সমিতির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সহ-সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক ঝিলাম উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনকে
ম্যানেজ করে ট্রাক্টর চলাচল করে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার করা
হয়, তা আদৌ সত্য নয়। প্রকৃত পক্ষে গাইবান্ধা ট্রাক্টর মালিক সমিতির পক্ষ থেকে
প্রশাসনকে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করা হয়নি বা হয়না। ট্রাক্টর বন্ধ
থাকার ফলে জেলার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যেমন- সরকারি-বেসরকারি অফিস
নির্মাণ কাজে বালু, সিমেন্ট, রড, ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী পরিবহন বন্ধ
রয়েছে। অথচ প্রশাসনের চাহিদা মোতাবেক মালিকরা নিজ ব্যয়ে ট্রাক্টর দিয়ে
বন্যা দুর্যোগের সময় ত্রাণ সামগ্রী পরিবহন, নির্বাচনের সময় নির্বাচনী
সামগ্রী পরিবহনসহ নানা জনকল্যাণে কাজ করে আসছে।
এছাড়া ট্রাক্টর বন্ধ থাকায় জেলার অনেক মালিক, ড্রাইভার, শ্রমিক ও লেবার বেকার
হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক্টর বিভিন্ন কোম্পানী থেকে নানা শর্ত সাপেক্ষে
কিস্তিতে ক্রয় করা হয়েছে। ফলে ওইসব কোম্পানীকে মাসে মাসে কিস্তি প্রদান
করতে হয়। বর্তমানে ট্রাক্টরগুলো বন্ধ থাকায় ট্রাক্টরের মালিকরা কিস্তি দিতে
হিমশিম খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এইসব গাড়িগুলো বন্ধ থাকায় এর উপর নির্ভরশীল
কর্মহীন ড্রাইভার, শ্রমিকের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাসুদ রানা, শিপন মিয়া, মাহফুজ আলম, সেলিম
আহমেদ, রুহুল আমিন, শানু মিয়া, ইদি মিয়া, সোহেল আহমেদ, সাগর মিয়া,
ড্যানি মিয়া, হুমায়ন কবির, সোনা মিয়া, রাজা মিয়া, শাওন, কামরান মিয়া,
মমিনুল হক, রিদম মিয়া, বাবু মিয়া, মহির আহমেদ, এলেম উদ্দিন প্রমুখ।
গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গাইবান্ধায়