এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লি: এ ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে মিলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ৭ সেপ্টেম্বর সকালে মিলে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের তা জানানো হয়।
মিল বন্ধ থাকার ১১ দিন পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনতা জুট মিলস লি: এর পক্ষে মহাব্যবস্থাপক মো: মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুটমিলস লি: এর মিল নং ০১, মিল নং ০৫ এবং মিল নং ০৬ এ কর্মরত সকল শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ০৫/০৯/২০২৪ ইং তারিখে সংঘটিত দাঙ্গা হাঙ্গামা ও বেআইনী ভাংচুর এর কারণে জনতা জুটমিলস লিঃ এর সকল কার্যক্রম গত ০৭.০৯.২০২৪ ইং তারিখে ক পালা ও অন্যান্য পালা থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কতিপয় শ্রমিক এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের যুগ্ম বেআইনী কর্মকান্ডের কারণে প্রতিষ্ঠানের মেশিনারী এবং অন্যান্য কাঠামো বিকল ও ভেঙ্গে যাওয়ায় স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১২ (৮) ধারা অনুযায়ি প্রাথমিকভাবে ১০.০৯.২০২৪ হতে ২০.০৯.২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত, এবং প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় পরবর্তীতে লে -অফের তারিখ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সিবিএ প্রতিনিধির অনুরোধের কারণে এবং মিলের শ্রমিকগণের স্বার্থ রক্ষার্থে মিল নং ০১, মিল নং ০৫ এবং মিল নং ০৬ এর পূর্ব ঘোষিত লে-অফ নোটিশ স্থগিত করা হল। এমতাবস্থায়, মিল নং ০১, মিল নং ০৫ এবং মিল নং ০৬ এর লে-অফ আগামী ১৮.০৯.২০২৪ ইং তারিখ থেকে স্থগিত করা হল এবং উক্ত মিল নং ০১, মিল নং ০৫ এবং মিল নং ০৬ এর সকল শ্রমিকগণকে আগামী ১৮.০৯.২০২৪ ইং তারিখ ক পালা (সকাল ৬ ঘটিকা) থেকে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত মিল নং ০১, মিল নং ০৫ এবং মিল নং ০৬ এর সকল শ্রমিকগণ পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে পারবেন। মিল নং ০২, মিল নং ০৩, মিল নং ০৪ এবং মিল নং ০৭ খোলার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে যথাসময়ে জানানো হবে। এদিকে মিল খোলার খবরে শ্রমিকদের উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়। শ্রমিকরা জানায়, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বাকী চারটি মিলও যেন খুলে দেওয়া হয়।