আবু হাসান আপন, নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়ীয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মৎসজীবি জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন চরলাপাং মেঘনা নদীর পূর্ব দিকে চরপাড়ার দক্ষিণ পাশে প্রায় ৪০০ শত একর জলাশয় দখল করে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে জনাযায়, স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালী মৎস্যজীবী মো. জসিম উদ্দীন। বাঁধ দেয়ার সময় স্থানীয় জেলেরা বাঁধা দিলে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও জেলেদের উপর আক্রমণ করে। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করলে শাস্তির বিধান থাকলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জেলেরা।
স্থানীয় কয়েকজন জেলে বলেন, আমরা জেলে মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করি। মো. জসিম উদ্দীন চরলাপাং চরপাড়ার দক্ষিণ পাশে জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করার কারণে আমরা ঐ স্থানে মাছ ধরতে পারি না। আমরা জেলেরা মাছ ধরতে গেলে মো. জসিম উদ্দীন রাজনীতির প্রভাব দেখিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে।পরে আমরা সকল জেলেরা মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বরাবর অভিযোগ করেছি, প্রসাশনের সহযোগিতায় অতিদ্রুত এই অবৈধ বাঁধ যেন গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাহলে আমরা সাধারণ জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারিব।
এ বিষয়ে পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, আমার চরলাপাং একটি বাঁধ বিষয়ে মৎসজীবি যারা তারা আমার কাছে আবেদন করে, আমার কাছে আসলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম স্যারের বরাবর আবেদন করতে বলি৷ পরে তারা ইউএনও’র বরাবর আবেদন করলে তাদের পক্ষে আমি কাজ করি৷ আমি তাদের পক্ষে কথা বলার কারণে জসিম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে৷
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, চরলাপাং এলাকায় বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি, লিখিত ভাবেও না, মৌখিক ভাবেও না। একটা অভিযোগ পেয়েছি ঐখানে একটি গোষ্টি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। কিছু দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সেটি উচ্ছেধ করা হবে।