এস এম আকাশ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অমান্য করে ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পৌর এলাকার ঢলুয়াবিলে দীপক কুমার ও তার সহযোগীরা সরকারি জায়গায় মুক্তাগাছা ফিলিং স্টেশনের নামে একটি পেট্রোল পাম্প স্থাপন সহ অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন যা প্রশাসনের একাধিক আদেশ উপেক্ষা করে গড়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীপক কুমার ও পাম্প মালিকরা, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তাপস কুমার সাহা, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এই অবৈধ নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ রানা একটি নোটিশ দিয়ে অবৈধ নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে প্রাচীর সরানোর নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ দেয়াল ভেঙে ফেলার পরেও তার বদলি হবার পর দীপক কুমার পুনরায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর এবং পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমানা রিয়াজ পূর্বের আদেশ পুনর্ব্যক্ত করে সীমানা প্রাচীর সরানোর চূড়ান্ত নির্দেশ দেন, যা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব ও অপশক্তির কারণে সরকারি আদেশ দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে, ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন যে, দীপক ও তাপসের নেতৃত্বে তাদের জমি দখল করা হয়েছে এবং যারা বাধা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্যানেল মেয়র সারোয়ার উজ্জ্বল বলেন,অবৈধ জমি দখল ও সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা দেওয়ায়,“আমার বাসায় হামলা, মিথ্যা মামলা সহ ফিসারিতে ৫০ লক্ষ টাকার মাছ ছিল, যা দীপক কুমারের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লুট করা হয়েছে।”আমার ৩ শতাংশ জমিও জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে তারা।আমি কোথাও বিচার পাইনি, থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়ে পরে কোর্টের সহযোগিতা নিয়েছি।
পেট্রোল পাম্প কতৃপক্ষ দীপক কুমার সাহা ও রনির ফুনে একাধিক বার কল দিলেও তারা ফুনটি রিসিভ করে নাই।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হায়দার বলেন,গত ৪ সেপ্টেম্বর দীপক কুমারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে,৩ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নিজেরা সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে না দিলে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি সহকারী কমিশনার ভূমিকে অবগত করা হয়েছে।নির্দেশনা না মাননে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি জমিতে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
আরও খবর...