খাদ্য অধিপ্তদর পরিচালিত ওএসএম কর্মসূচির চাল ও আটা বিক্রিয়ে চাটখিলে নিয়মের কোন বালাই নেই। কালো বাজারে চলে যাচ্ছে চাল ও আটা। এসব অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়। ডিও প্রতি খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির ইউনিয়ন ডিলারগণ থেকে মাস্টাররোল বাবদ ৩০০ টাকা আর অফিস খরচ বাবদ ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে খাদ্য অফিস। অপরদিকে ওএমএস ডিলারদের থেকে টন প্রতি ১৫০টাকা করে আদায় করার অভিযোগ করেছে উপজেলা খাদ্য অফিসের বিরুদ্বে।উপজেলার হালিমা দিঘীরপাড়ের ডিলার মেহেদী হাসান মিঠু’র বিরুদ্বে রয়েছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ।
গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে মিঠু’র বক্তব্যে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। মিঠু ওএমএস কর্মসূচির কোন নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। মাথাপিছু ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও মিঠু ক্রেতাদেরকে সকালে আটা দিলে বিকেলে চাল দিবে আবার সকালে চাল দিলে বিকেলে আটা দিবে বলে। এতে ক্রেতা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে না থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে মিঠু মজুদ থাকা চাল ও আটা কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। আবার কখনো কখনো রাতের আধাঁরে অতিরিক্ত মূল্যে মাথাপিছু চাল ও আটার বস্তা বিক্রি করে। এছাড়াও ওএমএস এর অপর তিন ডিলার চাটখিল পৌর শহরের যাত্রী ছাউনীতে মো. বেলায়েত হোসেন, তফাদার বাড়ির সামনে লেপ দোকানে মো. হানিফ ও ছয়ানীটবগায় মোস্তফা কামাল ওএমএস কর্মসূচির চাল ও আটা বিক্রি করে। প্রত্যেক ডিলারের বিরুদ্বে অভিযোগ রয়েছে তারা রাতের আধাঁরে অতিরিক্ত মূল্যে কালো বাজারে চাল ও আটার বস্তা বিক্রি করে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালিমা দিঘীরপাড়ে ওএমএস ডিলার মেহেদী হাসান মিঠু আটা বিক্রি করছেন, জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াই। এতে একই পরিবারের ৫/৬জন আটা কিনছেন। হালিমা দিঘীরপাড় হিমালয় কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় এক মহিলা একাই ৪০ কেজি চাল কিনে পৃথক স্থানে সরিয়ে রাখছেন। চাল ও আটা একত্রে কেন বিক্রি করা হচ্ছে না জানতে চাইলে মেহেদী হাসান মিঠু জানান, তার সুবিধার্থে তিনি আগে আটা বিক্রি করলে পরে চাল বিক্রি করেন। আবার আগে চাল বিক্রি করলে পরে আটা বিক্রি করেন। পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা জানান, মাথাপিছু ৫ কেজি আটা ও ৫ কেজি চাল একত্রে কেউ পাচ্ছে না। দৈনিক ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্রে কিছু চাল ও আটা বিক্রি করে অবশিষ্ট চাল ও
আটা রাতের আধাঁরে কালো বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক বিষ্ণ চন্দ্র ভৌমিকের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নেই। প্রত্যেক বিক্রয় কেন্দ্রে একজন করে তদারকি অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. গোলাম রাব্বানী উখানি’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার অফিসে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি তার দায়িত্ব নয়।