মোঃ আরমান হোসেন, পাকুন্দিয়া,(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ পালকিতে বিয়ে বর্তমান প্রজন্মের নিকট তা রূপকথার গল্প, আর বাস্তবে ফিরে এনে দেখিয়ে দিলো পাকুন্দিয়ার জাকির হোসেন। বেলা ২টা ৩০ মিনিট, বর যাচ্ছে ঘোড়ার পিঠে চড়ে, সাথে চার বেহারার একটি পালকি। চলছে প্রাইভেটকারের বিশাল বহর।এ যেন রুপকথার গল্প! গল্প নয় সত্যি, গ্রাম বাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই ভিন্নধর্মী এই আয়োজন।
২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া ও ঘাগড়া গ্রামের মধ্যে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আঃ হেকিম মাস্টারের বাড়ি থেকে বরযাত্রা শুরু করে একই উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের পুলেরঘাট সোবহানী প্যালেসে গিয়ে অবস্থান করে। কনে ড.ফরিদ আহমেদ সোবহানীর মেয়ে নাবিলা সোবহানী। বর কোদালিয়া গ্রামের জাকির হোসেন এর ছেলে, দৈনিক জনকন্ঠের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানে আর্টিকেল নাইন্টিন এ কর্মরত আশরাফুল আনোয়ার রোজেন।
বিয়ে বাড়ির পর্ব শেষ করে দীর্ঘ প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পালকিতে করে বউ নিয়ে যখন হাজির হয় তার নিজ বাড়িতে, তখন এই আয়োজন দেখতে ভিড় জমায় এলাকার শতশত মানুষ । উপভোগ করে ব্যাতিক্রমধর্মী করে এই আয়োজন। বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘এটা আমার স্বপ্নছিল, আমাদের বিয়ে হবে ব্যাতিক্রম ধর্মী,আর আমার স্ত্রীর ও ইচ্ছে ছিল পালকিতে করে শশুরবাড়ি আসার, আমি চেষ্টা করেছি তার ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্য।
‘বিয়ের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল খায়ের গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু সাইদ চৌধুরী,স্টেইট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ার কবির রুমি,ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম.সাদেকুল ইসলাম, ইউনাইটেড ট্রাস্ট এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ)ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ এইচ.আর ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মোশাররফ হোসেন, চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান মো.শামছু উদ্দিন, মইন উদ্দিন সহ এলাকার সর্ব সাধারন।