ইমাম হোসেন হিমেল, মহিপুর (পটুয়াখালী)
কলাপাড়া উপজেলাধীন ১১নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন শিকদার এর জীবন বৃত্তান্ত, কর্ম ও পরিকল্পনা। অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন শিকদার১৯৫৯ সালে ডালবুগন্জ গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।ছাত্র জীবনে কিশোর বয়সে ছাত্রলীগের মিছিল মিটিংয়ে সরব ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক রাজাকারকে তার বন্ধুদের নিয়ে ধানক্ষেতে ঝাপটে ধরেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট হস্তান্তর করেন। তিনি এ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজ মাথায় করে তার মেঝ ভাইয়ের নেতৃত্বে মহিপুরের পশ্চিম অংশের নির্জন এলাকায় খাবার পৌছে দিতেন।তিনি সরকারি বি,এম কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।এ সময় নানক-শহিদ পরিষদ পূর্ণ প্যানেল ছাত্র সংসদ নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালীন জনাব ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক,মস্তফা জালাল মহিউদ্দিনএবং আ,খ,ম জাহাঙ্গীর হোসেনের সাহচর্যে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।১৯৮২ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার হয়ে ক্যান্টনমেন্টে কারাবাসে থাকেন এবং নির্যাতনের শিকার হন। তার বা হাতের দুটি আঙ্গুল ভাঙ্গা এখনও,ভালো হয়নি। কর্মজীবনে তিনি খেপুপাড়াস্থ মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন এবংঅধ্যক্ষ পদে কর্মরত থেকে অবসর গ্রহণ করেন।বেসরকারি চাকুরী কালীন তিনি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং ডালবুগন্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অদ্যবধি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থেকে তৃনমুল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য দুবার আবেদন করেছিলেন। তিনি ২৪ টি পাঠ্যপুস্তকের প্রণেতা,তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ০৫টি, গল্পগ্রন্থ ০২টি। তিনি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। মুজিব শতবর্ষে তার লেখা কাব্যগ্রন্থ “এ দিন থেকে শত বছর আগে” আসছে অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। পেশাজীবনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহন করেন।এছাড়া পর পর দুবার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যােতসাহী সমাজকর্মীর পুরস্কার লাভ করেন।পটুয়াখালী জেলায় দুবার একই পুরস্কারে ভূষিত হন।বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন থেকে একাধিক পদক লাভ করেন। তিনি ১১নং ডালবুগন্জ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা প্রশাসক ছিলেন।ঐ সময় এলাকায় অভাবিত উন্নয়ন করেন।রাস্তা ঘাট,ব্রীজ কালভার্ট নির্মান, বাজার উন্নয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিকে জমিদানও কয়েকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তিনি ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেন।তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণে জমির ডোনার সংগ্রহ সহ সচিবালয় থেকে অনুমতি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ গ্রহণের ব্যবস্থা করেন।বৃটিশ আমলের ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা ও খাল সহ নতুন নতুন কাঁচা ও পাকা রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। থানা সদর থেকে ডালবুগন্জ ইউনিয়নে প্রবেশের একমাত্র পাকা রাস্তাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তিনি নির্মান করেন।ইউনিয়নের মূল অংশে এর আগে একটিও ইটের গাথুনি পড়েনি। বর্তমানে তিনি ডালবুগন্জ ইউনিয়নকে মনের মাধুরি দিয়ে সাজাতে চান।এটিকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিনত করা তার অবসর জীবনের শেষ বাসনা।স্বল্প সময়ে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন কালে সন্ত্রাস ও মাদকতা ছিল শুন্যের কোঠায়।ইউনিয়ন কে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তিনি বদ্ধপরিকর। জনগনের সহায়তা পেলে কিভাবে সৌহার্দপূর্ণ ও একটি আদর্শ ইউনিয়ন গড়া যায় শেষ জীবনে তিনি তার সাক্ষর রেখে যেতে চান।শান্তশিষ্ট আচরণ ও নম্রতা দিয়ে অতীতের মত সকল ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা তার লক্ষ্য। ডালবুগঞ্জ ও খাপড়াভাঙ্গা ৩ টি ওয়ার্ড কে সংযুক্ত করতে মেহেরপুর ব্রিজের ব্যবস্তা করে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবং এপারের ৩ টি ওয়ার্ডের সকল ত্রাণের কার্যক্রম ৩ ওয়ার্ডে বসে বিতরণ করার চিন্তা করে যাচ্ছেন। যেন বেশি ভারা বহন করে ইউনিয়ন পরিষদ আসতে না হয়।