আলী আজগর, মদন: নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামে জমির কাঁচা ধান কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু,পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত হয়েছে অন্তত (১৫জন)। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শুক্রবার (৩১মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন, বাঁশরী গ্রামের মৃত মুক্তর হোসেনের ছেলে, কাজল (৪০), শহীদ মিয়ার ছেলে, আমজাদ(২৫), মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে রোকন(৩০)। এবং আনোয়ার আলীর ছেলে এমদাদুল (২৫), মিনু মিয়া (৩০) লোকমান হেকিম (৩৩) আনজু মিয়া (৪০), হাবিবুল্লাহ (৪৫), হাবিবুল্লাহর (স্ত্রী) নুরজাহান আক্তার(৪০), আনোয়ার আলীর ( স্ত্রী) আমেনা বেগম (৫০)।
গুরুতর জখম ও আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, ১০জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,(৩০মার্চ) রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে নজরুল আমিন ফেরদৌসের এর ধানের জমি থেকে কাঁচা ধান কাটে ওয়াসিম, শামীম, চন্দন।
এ সময় ধানের জমির মালিক নজরুল আমিন ফেরদৌসের ছেলে জুয়েল (২০), তাদের জমি থেকে কাঁচা ধান কাটার প্রতিবাদ করলে,তারা তিনজন মিলে জুয়েল কে মারধর করে আহত করে । জুয়েল চিকিৎসাধীন রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ ঘটনার মীমাংসার লক্ষ্য নায়েকপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (সাদেক) মিয়ার বাড়িতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকাল ৮টার দিকে দরবার সালিশে বসেছিল বিষয়টি সমাধান করার জন্য। দরবার সালিশ না, মানায় দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পরিচিতি এখন শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাগরিক ভাবনা/এইচএসএস