1. [email protected] : Nagorik Vabna : Nagorik Vabna
  2. [email protected] : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. [email protected] : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  4. firozhossen[email protected] : Rakib Uddin Bokul Bokul : Rakib Uddin Bokul Bokul
  5. [email protected] : Holy Siam : Holy Siam
  6. [email protected] : Mohaiminul Islam : Mohaiminul Islam
  7. [email protected] : Mozammel Haque : Mozammel Haque
  8. [email protected] : Naem Islam : Naem Islam
  9. [email protected] : Rifan Ahmed : Rifan Ahmed
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পেলো নির্মাতা রওনাকুর সালেহীন গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটে পাস ৬৩.৪৬ শতাংশ, প্রথম হয়েছে রায়হান ময়মনসিংহে মরহুম শামছুল হকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত মদনের দুর্গত মানুষের পাশে উপজেলা প্রশাসন “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত আশুলিয়ায় একটি মোটরসাইকেল ও ১৫ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ শত সংকটের পরেও সাফল্য চূড়ায় জবির চারুকলা গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা রহস্য উন্মোচন নাইট গার্ড গ্রেফতার ১২ লাখ টাকা উদ্ধার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে ঝুকিপূর্ণ দোতলা ভবনে বসবাস করছেন ৬৪টি পরিবার

বাগেরহাটে জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার

  • সর্বশেষ: বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৭১৯ বার পঠিত
বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালী এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন। এসময়,বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্ররা। বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা আশ্রয়কেন্দ্রে জমিসহ ঘর পাওয়া শিখা রানী অধিকারী বলেন, কখনও ভাবিনি দালানে থাকব, নিজের জমি হবে, জমির মালিক হিসেবে স্টাম্পের উপর নিজের ছবি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই জমিসহ ঘর পেলাম, স্থায়ীভাবে দালানে থাকতে পারব এটা ভেবেই ভাল লাগছে।
একই আশ্রয়নকেন্দ্রে ঘর পাওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, নিজের জমি না থাকায়, রাস্তার পাশে এবং মানুষের বাড়িতে থাকতাম স্বামী সন্তান নিয়ে। জমিসহ ঘর পেয়েছি, নিজের ঠিকানা হয়েছে। বাকি জীবন আশ্রয়নকেন্দ্রেই কাটাতে চাই।
শুধু ফাতেমা এবং শিখা নয়, বাগেরহাট জেলায় ঘরপ্রাপ্ত ৬৯৬ ভুমিহীন পরীবারের সদস্যদের অভিব্যক্তি একই রকম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন। ঘরপ্রাপ্তদের সবধরণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশে পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাষনালয়, খেলার মাঠ, ফুল-ফলের বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে সুপেয় পানির প্রাপ্ত নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকুপ।  এছাড়া উপকারভোগীদের সব ধরণের আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
সৈকত মন্ডল, বাগেরহাট প্রতিনিধি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

আরও নিউজ পড়ুন ...