আবুল হাসনাত রিন্টু: ফেনীর সোনাগাজীতে দুটি মামলায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছিলেন মো. জামাল উদ্দিন (৩৮)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে সাত বছর চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় পালিয়ে ছিলেন। শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ফেনী শহরের মহিপাল এলাকার একটি দোকান থেকে জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন জামাল। কিছুদিন কারাভোগের পর জামাল জামিনে বের হন। এর দুই মাস পর আবারও পুলিশ জামালকে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ওই মামলায় পরে জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে গোপনে চট্টগ্রামে চলে যান। এর পর থেকে তিনি পলাতক। এদিকে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একটি মামলায় জামালকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর মামলায় তাঁকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন।
সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাঈন উদ্দিন জানান, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার অনেক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সপ্তাহখানেক আগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সদর এলাকায় মাছের ব্যবসা করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে জামাল প্রায়ই অবস্থান পরিবর্তন করতেন। এক মুঠোফোন নম্বর বেশি দিন ব্যবহার করতেন না। মাঝেমধ্যে তিনি গোপনে রাতের বেলায় বাড়ি এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যেতেন।এরপর কয়েক দিন আগে জামালকে ধরতে পুলিশ গভীর রাতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। পরে তাঁর মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে ফেনী শহরের মহিপাল মাছবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে তারা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, মাদকের দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।