শাহজাহান খন্দকার উলিপুর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে সুজন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উলিপুর পৌর শহরের মসজিদুল হুদা মোড়ে তবকপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে সুজন হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সোহেল রানা, আব্দুর রউফ টিটু, বিশ্বজিৎ সিংহ বাপ্পা, নিহতের ছোট বোন ফারহানা বেগম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুজন হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় ফাঁসি দিতে হবে। এ ঘটনায় শ্বশুর, শ্বাশুড়ি স্ত্রী, শালা, সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াসহ জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে, বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভবনের সামনে জমায়েত হয়, এসময় উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংশা ও উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আশরাফুজ্জামান আসামিদের অতি শীগ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়া গ্রামের ফয়জার রহমানের পুত্র সুজন মিয়া (২৩) এর সাথে এক বছর আগে উলিপুর পৌরসভার আব্দুল হাকিম গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে হাবিবা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। ৪ মাস আগে হাবিবা বেগম পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এ সময় সুজন মিয়া ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল। গত ৬ মার্চ সুজন মিয়া ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে স্ত্রী হাবিবা বেগমসহ পরিবারের লোকজন ফোনে সুজন মিয়াকে বাবার বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর গভীর রাতে সুজন মিয়াকে অমানুবিক নির্যাতন চালিয়ে ফেলে রাখে। সুজন মিয়ার পরিবারের লোকজন পরদিন বিকেলে খবরটি জানতে পেরে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ৮ মার্চ চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বুধবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফয়জার রহমান বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত একজনকে রাতেই গ্রেফতার করে। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন এ ঘটনায় জড়িত আবু হাসান মাহমুদ (১৯) নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার কার্যক্রম চলমান রহিয়াছে। আমরা আশাবাদী যতদ্রুত সম্ভব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।