অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি :
আজ ১৬ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিকতার তকমা ঘুচানোর কড়ায় গন্ডায় ১ বছর। কিন্তু এই এক বছরে ১২শ ছাত্রীর জন্য কোনো ধরনের ইমারজেন্সি বা দুর্ঘটনার জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা করেনি হল কর্তৃপক্ষ।
১৬ তলার এই হলে এক রুম ৮ জন শিক্ষার্থী শেয়ার করে। মোট ১২শ টি সীট রয়েছে। কিন্তু এই ১২শ শিক্ষার্থীর জন্য মেডিকেল সরঞ্জাম বলতে রয়েছে শুধুমাত্র একটি হুইল চেয়ার। সম্প্রতি মৌসুম বদলানোর ফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
রাত বিরাতে রুমমেট, বান্ধবীরা ছুটছে হাসপাতাল দিকে। এমন ইমারজেন্সির সময় হল প্রভোস্ট বা হাউজ টিউটর কাউকে সশরীরে পাওয়া যায়না। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সায়ন্তিকা জানান গত দুইদিন আগে হঠাৎ তিনি প্রচন্ড রকম অসুস্থতা বোধ করেন এবং প্রায় সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলেন। তখন তার রুমমেটরা বুঝতে পারেনি তার কী সমস্যা হচ্ছে।তারা লো ব্লাড প্রেশার ভেবে তাকে ডিম আর স্যালাইন খেতে বলে।
কিন্তু পরে হাসপাতাল গিয়ে জানতে পারে তার ব্লাড প্রেশার অনেক বেশি ছিল।আফসোস করে জিজ্ঞেস করলেন একটা প্রেশার মাপার যন্ত্র কি প্রশাসন দিতে পারেনা? আমাকে যদি ওই মুহুর্তে ডিম স্যালাইন খাওয়ানো হতো আমার কি হতো? এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এতগুলো শিক্ষার্থীর জন্য কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই হলে।প্রেশার মাপার যন্ত্র, সামান্য প্যারাসিটামল, গ্যাসের ওষুধের ও কোনো ব্যবস্থা নাই।রাত বিরাতে যে কোনো সমস্যায় দৌড়াতে হয় ন্যাশনাল বা সুমনা হাসপাতালে।একজন চিকিৎসক ও কিছু চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার জন্য হল প্রভোস্টের কাছে অনুরোধ করবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান।