1. [email protected] : Nagorik Vabna : Nagorik Vabna
  2. [email protected] : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. [email protected] : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  4. firozhossen[email protected] : Rakib Uddin Bokul Bokul : Rakib Uddin Bokul Bokul
  5. [email protected] : Holy Siam : Holy Siam
  6. [email protected] : Mohaiminul Islam : Mohaiminul Islam
  7. [email protected] : Mozammel Haque : Mozammel Haque
  8. [email protected] : Naem Islam : Naem Islam
  9. [email protected] : Rifan Ahmed : Rifan Ahmed
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন

চল্লিশোর্ধ বিধবা ফাহিমার মাথাগোঁজার ঠাই

  • সর্বশেষ: বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২১০ বার পঠিত

জেষ্ঠ্য প্রতিবেদকঃ ভূমিহীন চল্লিশোর্ধ বিধবা ফাহিমা আক্তার বলেশ্বর নদী তীরে বসবাস করতেন। স্বামীহারা আর নদীভাঙা জীবনে বিপন্ন ফাহিমা গৃহহীন হয়ে পড়েন। নদী তার বসতি গিলে খায়। মাথাগোঁজার ঠাই তো দুরের কথা জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়ে। অসহায় বিধবা ফাহিমার নাম ওঠে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘরের তালিকায়। রঙিন টিনের ছাউনির পাকা ঘর পেয়ে যান ফহিমা।সেই সাথে বিদ্যুত বাতি আর সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়। গৃহহীন ফাহিমার জীবনযাত্রা বদলে যায়। ঝড়বৃষ্টিতে আর বিপন্ন জীবন তার নাই। আশ্রয়ণের ঘরের আঙিনায় সবজির বাগান আর ফুল ফোঁটে। বসতি লাগোয়া কবুতরের বাসা সেই সাথে হাঁস মুরগীর লালন পালনে ফাহিমা এক নতুন জীবন ফিরে পান।
শুধু বিপন্ন ফাহিমাই নন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদী তীরের বড়মাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়া গ্রামের সরকারি খাস জমিতে এক সাথে ১০০ ভূমিহীন পরিবারের নিরাপদ আশ্রয় মিলেছে। একদা গৃহহীন এ পরিবারগুলো বিপন্ন জীবনে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এখানে আশ্রিত পরিবারগুলোর সকলেই ভূমিহীন দিনমজুর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখো গেছে, ৮ একর ১০ শতাংশ জমিজুড়ে পরিকল্পিতভাবে পরিবেশ সম্মত এ আশ্রয়ণ গড়ে তোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পটি একটি মডেল গৃহায়ন কর্মসূচি হিসেবে বাস্তবায়নে সফল হয়েছেন। এখানে প্রশস্ত সড়ক, সারি করে রঙিণ ঘরবসতি বেশ দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা মানুষের নজড় কাড়ছে। সেই সাথে বিদ্যু বিতরণ ব্যবস্থা, সুপেয় পানির জন্য নলকূপ,রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্থাপন ও পুকুর খনন করা হচ্ছে। আশ্রয়ণে আশ্রিত শতাধিক শিশকে শিক্ষার আলো দিতে গড়ে তোলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই সাথে শিশুদের খেলাধূলার জন্য মাঠ। আশ্রয়ণে আশ্রিতদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বেচা কেনার জন্য একট হাট স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে আশ্রিতদের জীবযাত্রা বদলে যেতে শুরু করেছে।
আশ্রয়ণে আশ্রিত বিধবা ফাহিমা আক্তার বলেন, বলেশ্বর নদী ভাঙনে ঘরবসতি হারাইছি। নিজের ঘর হবে কোনোদিন স্বপ্নেও দেহি নাই। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় আমি এ্যাহন পাকা ঘরে বাস করছি। বিদ্যুত বাতি পাইছি। অহন আর ঝড় বৃষ্টিতে ভয় নাই। প্রধানমন্ত্রী ম্যালা দিন যেন বাইচা থাহে। আমাগো অহন কিছু প্রশিক্ষণ হইলে কাজ কর্ম কইরা খাইতে পারতাম।
আশ্রিত দিনমজুর সত্তোরোধ বয়সী বৃদ্ধ হেমায়েত হাওলাদার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লার নাম লইয়া প্রধানমন্ত্রী আমারে একখান পাকা ঘর দিছে এজন্য মুই খুব খুশী। প্রধানমন্ত্রী আর হের পরিবারের লইগ্যা মুই দোয়া করি। আল্লা যেন তাওে ভালো রাহে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে মঠবাড়িয়ার ১১ ইউনিয়নে গৃহহীন,ভূমিহীন পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ যাবৎ ৮৩০টি পরিবারের গৃহ নির্মাণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড়মছুয়া গ্রামের ৮ একর ১০ শতাংশ সরকারি খাস জমিতে কমিউনিটি ভিত্তিক ৯৮টি পরিবারের মাঝে গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন করে তা সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবানে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি একটি মডেল আবাসন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক বলেন, যেসব পরিবারে বসতির জমি আছে তাদের পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যারা সম্পূর্ণ ভূমিহীন তাদের জমি দিয়ে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ঘর নির্মাণ প্রকল্প চলমান কর্মসূচি। উপজেলার পূর্ব বড়মাছুয়া গ্রামের সরকারি খাস জমিতে কমিউনিটি ভিত্তিক ১০০ ভূমিহীন পরিবারে গৃহ নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন । এ আশ্রয়ণটি একটি সমাজ ভিত্তিক আদর্শ আশ্রয়ণ হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিশুদের স্কুল, খেলার মাঠ, হাট স্থাপন, বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে প্রকল্প এলাকার সড়ক পাকা করণসহ পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারের জীবনযাত্রা বদলে যেতে শুরু করছে।

ফেসবুকে শেয়ার করুন

আরও নিউজ পড়ুন ...