জেষ্ঠ্য প্রতিবেদকঃ
তত্বাবধায়ক সরকারের সময় পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়ে জীবনের শেষ শায়হ্নে পঙ্গুত্ব জীবনের গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অন্যের করুনার ওপর। হামলা মামলারও শিকার হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরিন কোন্দলের কারনে কয়েকবার। কলেজ পড়–য়া একমাত্র ছেলের পড়াশুনা, সংসারের খরচ আর প্রতিমাসে নিজের কয়েক হাজার টাকার ওষুধ কিনতে এখন তিনি মহাসঙ্কটের মধ্যে ঘোরপাক খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেও কোন সুফল মিলছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকার পাল বাড়ির বাসিন্দা শ্রী রাধাকৃষ্ণ পালের ছেলে এবং কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি (পঙ্গু) সুভাষ চন্দ্র পাল (৬০)।
সরেজমিনে সুভাষ পালের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার ও স্ত্রী হাজোরালী পালের সঙ্গে। তিনি প্রতিবেদকের কাছে বলেন, গ্রাম্য নোংরা রাজনীতির শিকার আওয়ামীলীগ নেতা সুভাষ চন্দ্র পাল স্পষ্টভাসি হওয়ায় ত্তত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সহায় সম্বলহীন। শরীরের অবস্থার আরও অবনতি হলে তার ডান পায়ের নীচে পচন দেখা দেয়। এ অবস্থায় তার ডান পয়ের হাটুর ওপর থেকে কেটে ফেলা হয়।
সুভাষ চন্দ্র পালের আকূল আবেদন, কৃত্তিম পায়ের জন্য প্রায় দেড় থেকে দুলাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া তার একমাত্র কলেজ পড়–য়া ছেলে হৃদয় চন্দ্র পাল, সংসারের বোঝা আর ওষুধ ক্রয় করতে প্রতিমাসে অন্তত ৩০-৩৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। তাই সরকার প্রধান ও বিত্তশালীদের কাছে তিনি আর্থিক সহায়তার হস্ত প্রসারিত করেছেন। তাই সমাজের বিবেকবানদের সাহায্য চান তিনি। সাহায্য পাঠান পিরোজপুর সোনালী ব্যাংক হিসাব নং-(০৫০৮২১০১৬২৮২)।