
এনামুল হক, কাউখালী অফিসঃ
কাউখালীতে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন (৩৪)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা যায়, ইমরান হোসেনের স্ত্রী মিয়াদ আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ইমরানের স্ত্রী মিয়াদ আক্তার রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রামের মো. মানিক হাওলাদারের মেয়ে। আজ সোমবার (২০ফেব্রুয়ার ) দুপুরে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় সে জামিন চাইলে আদালত নামঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী মামলার বাদী মিয়াদ আক্তার । মোঃ ইমরান হোসেন রাজাপুর উপজেলা সদরের মনোহরপুর গ্রামের মৃত এনায়েত হোসেনের ছেলে। ইমরান বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স- এ সহকারী পরিচালকের দপ্তর চট্টগ্রাম ওয়্যার হাউজে ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত থাকলেও সংযুক্তিতে সে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মামলার বাদী মিয়াদ আক্তার জানান, এর আগে মামলার মীমাংসার শর্তে আদালত থেকে জামিন পায় ইমরান। কিন্তু সে জামিন নিয়ে তার পরিচিত কিছু প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে। ইমরানের ঊর্ধ্বতনের দপ্তরেও একাধিবার অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। যৌতুক মামলায় আমি ন্যায় বিচার চাই। মামলায় হাজির হওয়ার আগে ইমরান হোসেন জানান মামলার বাদী আমার স্ত্রী মিয়াদ আক্তার সম্পর্কে আমার আপন খালাতো বোন। তার বিতর্কিত কাজের জন্য আমার সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ কারণে সে আমার সরকারি চাকরিতে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। আমি আদালতের ন্যায়বিচার পাব।
আরও নিউজ পড়ুন ...