1. [email protected] : Nagorik Vabna : Nagorik Vabna
  2. [email protected] : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. [email protected] : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  4. firozhossen[email protected] : Rakib Uddin Bokul Bokul : Rakib Uddin Bokul Bokul
  5. [email protected] : Holy Siam : Holy Siam
  6. [email protected] : Mohaiminul Islam : Mohaiminul Islam
  7. [email protected] : Mozammel Haque : Mozammel Haque
  8. [email protected] : Naem Islam : Naem Islam
  9. [email protected] : Rifan Ahmed : Rifan Ahmed
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন সত্ত্বেও অকার্যকর নিবন্ধন প্রক্রিয়া : বাড়ছে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বাজার

  • সর্বশেষ: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭৫ বার পঠিত

সেবা ডেস্ক রিপোর্টঃ নিবন্ধন কার্যকর না হওয়ায় বেড়েছে দেশে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বাজার। অথচ বিগত ৫ বছরে সরকারের নীতি সহায়তার কারণে দেশে প্রায় সব ব্র্যান্ড কারখানা স্থাপন করেছে। ওসব প্রতিষ্ঠান চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশ ফোন উৎপাদন করছে। কিন্তু ওই খাতে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করছে অবৈধ পথে আসা ফোনসেট। আর অবৈধ ফোনসেটের কারণে দেশের কোম্পানিগুলো আধিপত্যে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে। বিগত ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার) সিস্টেম চালুর পর দেশে অবৈধভাবে আসা ফোনসেট বাজারের আকার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ওই নিয়ম শিথিল করা হলে সম্প্রতি তা বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি এবং খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত মতে, প্রতিবছর দেশে বিক্রি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ অসাধু উপায়ে কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে ঢুকছে। ফলে সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশে বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি মোবাইল ফোনসেট বিক্রি হয়। বৈধ পথে আসা এবং দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের সঙ্গে এই সংখ্যা যোগ করলে তা আরো বেশি। মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও অবৈধ ফোনের কারণে হুমকির মুখে ওই শিল্প। অবৈধ ফোনের কারণে চলমান ডলার সংকটের মধ্যেও প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। অথচ নিবন্ধন নিশ্চিত করা হলে একদিকে যেমন অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করা যাবে, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রাখা যাবে। অন্যদিকে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি ঠেকানোও সম্ভব হবে।

সূত্র জানায়, দেশে ওয়ালটন, স্যামসাং, শাওমি, নোকিয়া, অপো, ভিভো, ট্রানশন (টেকনো ও আইটেল) সিম্ফনি, লাভা, রিয়েলমি, ফাইভস্টার, ইউনস্টারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনের কারখানা গড়ে ওঠেছে। দেশে মোবাইল ফোনের ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে আর চাহিদার ৯৫ শতাংশের বেশি ফোন দেশেই উৎপাদিত হয়। ওই খাতকে কেন্দ্র করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের শপিং মলগুলোতে আনকোরা নতুন, অফিশিয়াল, আন-অফিশিয়াল, পুরনো সব ফোনসেটই বিক্রি হচ্ছে। দেশের মার্কেটগুলোতে বৈধ পথে আসা (চ্যানেল প্রডাক্ট) এবং অবৈধ পথে আসা (নন-চ্যানেল বা গ্রে প্রডাক্ট) ফোনসেট পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ায় অনেক ক্রেতাই নন-চ্যানেল পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। তবে নন-চ্যানেলে আসা ফোনের কোনো ওয়ারেন্টি নেই।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি নীতি দিয়েই দেশে মোবাইল ফোনশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট থেকে সরকার দেশে মোবাইল ফোনসেটের কারখানা করতে উৎসাহ দেয়া শুরু করে। ওই বাজেটে মোবাইল ফোনের ৪৪টি যন্ত্রাংশে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দেয়া হয়। ৪১টি যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক করা হয় ১ শতাংশ, যা আগে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। বিপরীতে তৈরি করা মুঠোফোন আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। ওই নীতির ফলে একদিকে আমদানি করা মোবাইলের খরচ বেড়ে যায়, অন্যদিকে দেশে তৈরি করলে খরচ কমে যায়। এদিকে দেশে মোবাইল ফোনের বাজার বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শাহীদ জানান, সরকার হ্যান্ডসেটের রেজিস্ট্রেশন চালুর পর বাজার ৫ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন তা বন্ধ থাকায় দেশে গ্রে মার্কেট আশঙ্কাজনক হারে বড় হচ্ছে। এনইআইআর প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় বৈধ ফোনের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আর ডলার সংকটে কাঁচামাল চাহিদা মতো আমদানি করতে না পারায় কোম্পানিগুলো প্রায় ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে মোবাইল ফোন আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সংগঠন বিএমপিআই সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানান, বাংলাদেশের বাজারে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আসা বন্ধ না হলে দেশে যেসব কম্পানি কারখানা করেছে তারা কেউই টিকতে পারবে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে তা বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। এখনই অবৈধ পথে আসা হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, অবৈধ ফোনের আমদানি বন্ধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে অবৈধভাবে যেসব মোবাইল সেট ঢুকছে সেগুলো কাস্টমস দেখবে, সীমান্তরক্ষীরা দেখবে। এখানে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভূমিকা রাখা জরুরি। আমরা বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নিচ্ছি। মাঝে মাঝে অভিযানও পরিচালনা করছি।

ফেসবুকে শেয়ার করুন

আরও নিউজ পড়ুন ...