ষ্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনের এক কনষ্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। রোগের উপসর্গে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. এজেডএম ইমরুল কায়েস জানিয়েছেন। মৃত কনষ্টেবল হলো- মো. পলাশ (২২)। সে মাগুরার ঘোড়ামারা গ্রামের ওলিয়ার মোল্লার ছেলে। ২০১৮ সালে পুলিশে যোগদানের পর পিরোজপুর জেলা পুলিশে কনষ্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতালে কনষ্টেবল পলাশের সাথে থাকা শ্যালক পরিচয়ের মো. ফিরোজ আলম বলেন, ২০২১ সালে মোহাম্মদপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের কন্যা সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয়। সুমাইয়া বর্তমানে চারমাসের অন্ত.স্বত্তা। ফিরোজ বলেন, দেড় মাস পূর্বে খেজুরের কাঁচা রস পান করেন। তিনদিন পূর্বে পলাশের জ্বর হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। ডা. এজেডএম ইমরুল কায়েস বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই দিন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-১ এর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ডা. ইমরুল কায়েস বলেন, পলাশের জ্বর, খিচুনি ও শ্বাস কষ্ট ছিলো। ব্রেইনে ইনফেকশন হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিপাহ ভাইরাস সন্দেহ করছি। তাই তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ১১ ফেব্রুয়ারী বিকেল তিনটায় ঢাকায় পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন আসতে ২৪ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। রাত নাগাদ প্রতিবেদন পেয়ে যাব। পেলে নিশ্চিত করতে পারবো। পিরোজপুর পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান বলেন, পলাশ পুলিশ লাইনসে কনষ্টেবল পদে কর্মরত ছিলো। শনিবার জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। মৃত্যুর কারন জানার রিপোর্ট আসার পুর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। সময় দেয়নি। তাই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, সেটা নিশ্চত নই। রিপোর্ট পেলে বলতে পারবো কি কারনে মৃত্যু হয়েছে।