আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০নাজমুল হাসান,পিরোজপুর প্রতিনিধিসদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. সিহাব উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়।
শুক্রবার রাতে কদমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. সিহাব উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দুই গ্রুপের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়।
হামলায় গুরুতর আহত সিহাব উদ্দিন গ্রুপের শেখ শহিদ জানান, রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ সিহাব উদ্দিন কদমতলা বাজার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হন। এসময় তিনি স্থানীয় বাজার ব্রিজের কাছে এলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খানের নেতৃত্বে দা, লোহার রড ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ১০/১২ জনের একটি দল সিহাবের উপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আমরাও সেখানে পৌঁছালে চেয়ারম্যান নিজে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করেন। এসময় হামলায় শাহ আলম শেখ (৬০), শফিজ উদ্দিন শেখ (৪৮), সাইদুল হাওলাদার (৩২) গুরুতর আহত হন। এছাড়া আরো ১০/১২ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএম মোস্তফা কায়সার জানান, মো. শহিদ শেখ ও শাহ আলম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ওই হামলায় নিজের কোন সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত কয়েকদিন ধরে আসন্ন ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিহাব শেখের লোকজন তার (চেয়ারম্যান) লোকজনকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তার (চেয়ারম্যান) লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়ানো থাকলে সিহাব শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে সাইদুল শেখ (৩৫), সান্টু খান (৫০), এনামুল হক ইরান (৫০), লতিফ খান (৬০) ও রনি মৃধা (৩০) আহত হয়। গুরুতর আহত সাইদুল শেখকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।