সরকার সালাহউদ্দীন সুমন: কিশোরগঞ্জ উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ থানার, পলাশ চন্দ্র মন্ডল,অফিসার ইনর্চাজ (ওসি)। এই ওসি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়াবহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার কৃষক সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা।
সাধারণ মানুষ বলছেন হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে অপরাধ প্রবণ এ উপজেলার দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন মহল বলছেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রয়েছে কিশোরগঞ্জ থানার। বিশেষ করে থানার ওসি যোগদানের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের এই সাফল্যে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে কিছু সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্বৃত্তেরসহ দালালদের। কারণ ইতিমধ্যে তাদের স্বার্থে আঘাত পড়েছে।
খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমান ওসি যোগদানের পর উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ উন্নতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এখন দিনে ও রাতে পুলিশের টহলদারীতে বা নজরদারীতে চুরি ডাকাতি কমে গেছে।
ফলে পোষ্য সন্ত্রাসীরাও চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্ম চালাতে পারছে না। বর্তমান ওসি যোগদানের পর চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব সিদ্দিকুর রহমান সুজন জানান, বর্তমান ওসির কৌশলী ভূমিকার কাছে হার মানতে শুরু করেছে অপরাধীরা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখেন।
থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) বলেন জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,পুলিশ জনগণের বন্ধু, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ পরিকর, সাদাকে সাদাই বলব, কালোকে কালো বলবো। এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।