জেমস আব্দুর রহিম রানা: নদের পাশে পার্ক, দুইপাড়ে ওয়াকওয়ে, নির্মল বিনোদনের মনোরম পরিবেশ! এই স্বপ্ন-কল্পনা যশোরবাসীর বহুবছরের। এই স্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে এবার। ভৈরব পাড়ে নদকে ঘিরে বিনোদনকেন্দ্র যাত্রা শুরু করেছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যশোরের দড়াটানা ভৈরব নদের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত এই নয়নাভিরাম পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় পার্কের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এদিন সকাল থেকেই নবনির্মিত পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে দড়াটানা ব্রিজ থেকে পর্যন্ত নদের পাড়ে নির্মান করা হয়েছে এই মনোরম পার্ক। পরবর্তীতে নদের দুইপ্রান্তে দড়াটানা ব্রিজ থেকে বাবলাতলা ব্রিজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)।
সরেজমিনে দেখা যায়, যশোরের প্রাণ কেন্দ্র দড়াটানা ব্রিজ থেকে গরীবশাহ (র.) মাজার পর্যন্ত ২০০ মিটারে নদের পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কাজে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা। ভৈরব নদের পাড়ে পার্ক নিমার্ণ ও নবনির্মিত পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছে যশোরবাসী।
যশোর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদের দুইপ্রান্তে দড়াটানা ব্রিজ থেকে বাবলাতলা ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নিমাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে থেকে দড়াটানা ব্রিজ থেকে গরীবশাহ (র.) মাজার পর্যন্ত ২০০ মিটারে নদের পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে আজ সবার জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। আর এই কাজের ব্যয় করা হয়েছে ৮ কোটি টাকা। কাজের টেন্ডার পেয়েছিলেন যশোরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স শামীম চাকলাদার এন্টারপ্রাইজ।
তিনি আরও বলেন, ২০০ মিটারের মধ্যে হাঁটার জন্য রোড, পানির ফোয়ারা, বাথরুম, বসার ব্যবস্থা ও ফুল বাগান ইত্যাদি রয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষ বসে ভালো সময় কাটাতে পারবেন। এটা মোটামুটি ছোট পার্কের মতো।
হাসানুর রহমান হাসান নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, যান্ত্রিক জীবনে থেকে কিছুটা হলেও ক্লান্তি দূর করবে এই বিনোদন কেন্দ্র। এছাড়াও ভৈরব পাড়ে বসে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারবো, এটা ভেবেই অনেক ভালো লাগছে।
স্কুল শিক্ষক নওমিন আফরিন বলেন, ২০০ মিটার ভৈরব নদের পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ দেখে অনেক ভালো লাগছে। বিনোদন কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় শহরের মানুষের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এখানে বাচ্চাদের জন্যও অনেক সুন্দর জায়গা হবে। বয়স্ক ও তরুণদের সু-স্থাস্থের জন্য হাঁটা-হাঁটিতে পার্কটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।