সাইক্লোন ‘মিগজাউনের’ প্রভাবে দেশে শীত আসতে একটু দেরি হলেও গত কয়েক দিনে জেঁকে বসেছে শীতের অনুভূতি। এমন তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত কয়েক দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা কমে এসেছে। একই সঙ্গে কমে এসেছে রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের তাপমাত্রাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহে সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে সেটি অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “কাল থেকে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল যেমন- গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুরের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা নেমে আসবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।”
আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে শীতের অনুভূতির তীব্রতা বাড়তে থাকে।
“একটি উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এলাকাজুড়ে বিদ্যমান। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে শীতল বাতাস দেশের অভ্যন্তরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করতে শুরু করেছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমে যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার শুরু হয়েছে- এসব কারণেই শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সোমবার থেকে রাতের তাপত্রা কমতে শুরু করেছ। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আর দিনের তাপমাত্রা থাকছে ২১ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে।
মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আগেরদিন যা নওগাঁর বদলগাছীতে ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
n/v