জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই দেশের সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছিল। আজ যারা ক্ষমতাসীন তাদের উচিত সেখান থেকে সরে আসা। কারণ তারা জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষর করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে যশোর বিএনপির মানববন্ধন কমসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, আজকে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে যেসব নেতাকর্মী একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হয়ে রাজপথে এসেছেন। তারা ঘরে-বাইরে সবখানে নির্যাতিত, তাদের স্বজনরা কারাবন্দী। নির্যাতিত নেতাকর্মীদের স্বজনরা তাদের কষ্টের কথাটি বলতে চান, সেটিও বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিটি প্রেসক্লাবের সামনে করার কথা থাকলেও সকাল থেকে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার পর্যন্ত খর্ব করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারছেন না। কারাবন্দী অসুস্থ যুবদল নেতাকে কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, কিভাবে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ফেলে রাখা হয়েছে। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় আমাদের নেতাকর্মীরা মৃত্যুবরণ করেছেন।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম সারাদেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই দেশে আমরা এমন একটি সরকার চাই, যেখানে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. এম.এ গফুর, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যশোর ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, চৌগাছায় নিহত মকবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা খাতুনসহ নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীদের স্বজনরা।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যশোর ইউনিট, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, জেলা বিএনপির অধীনস্থ সব ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের আমলে বিচার বহিঃর্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার, তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ও কারাবন্দী নেতাকর্মীদের স্বজনরাও অংশ নেন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিটি যশোর প্রেসক্লাবের সামনে হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। পরে জেলা জজ আদালত ভবনের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ন/ভ