মাজেদুল ইসলাম স্বপন: সিআইডি পরিচয় অটো চুরি অতঃপর চরচক্রের ৩ সদস্যকে আটক৷ করেছে জলঢাকা থানা পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুরের দিকনির্দেশনায় থানার পুলিশের একটি চৌকস টিম প্রায় আট ঘন্টা অভিযান চালিয়ে অটোচোর চক্রের এ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, জলঢাকা পৌর শহরের অগ্রণী ব্যাংকের সামন হতে ডালিয়া যাবার কথা বলে গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০ টায় একজন অটো চালককে সি.আই.ডি পরিচয়ে ভারায় নিয়ে যায় কতিপয় ব্যাক্তি।
পরে পথিমধ্যে কৌশলে অটোচালক কে হোটেলে ভাত পান ও স্প্রীটক্যান খাইয়ে অজ্ঞান করে চোর চক্রের সদস্যরা তার কাছে থাকা অটো টি নিয়ে লাপাত্তা হয়।
পরে ভুক্তভোগী ব্যাক্তি জলঢাকা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তার এজাহারের প্রেক্ষিতে পেনাল কোড রুজু হয় যার মামলা নং- ২৪ ধারা-১৭০/৩২৮/৩৭৯
মামলা রুজু হবার পর থেকেই নীলফামারী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ গোলাম সবুর, পিপিএমের সার্বিক দিক নির্দেশনায় নীলফামারী সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা মঞ্জুর পিপিএম ও জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মুক্তারুল আলম এর নেতৃত্বে জলঢাকা থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় ৮ ঘন্টা টানা অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অটো গড়ী চোর চক্রের কুখ্যাত চোর ১। মোঃ সাজু আহমদ পায়েল(৩১), পিতা-মোঃ আব্দুল আউয়াল, সাং-রাজিব টোপামুধুপুর, থানা কাউনিয়া, জেলা- রংপুর ২। মোঃ মিজানুর রহমান বাবু(৪০), পিতা-মোঃ আব্দুস ছামাদ ৩। মোঃ শফিকুল ইসলাম(৪৫), পিতা-মৃত নুর ইসলাম, উভয়ের সাং দক্ষিন বিন্নাটারী, থানা-হাজিরহাট জেলা-রংপুর।
সক্রিয় এই চক্রকে বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অটো গাড়ি চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।
প্রধান আসামি সাজু আহমেদ পায়েল জানায় যে সে সিআইডি অফিসার ছদ্মনাম ধারণ করে এবং বিভিন্ন চেতনা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করার মাধ্যমে অটোচালকদের অচেতন করে রংপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ও এলাকায় যেমন জলঢাকা থানা, কুড়িগ্রাম জেলা, সিলেট জেলা, চট্টগ্রাম জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা, হবিগঞ্জ জেলা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ও রাতে ও দিনের বেলা অটো গাড়ি অটো রিক্সা অটো ভ্যান চুর করে এবং বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিক্রি করে এভাবে তারা প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি অটো গাড়ি অটো রিক্সা অটো ভ্যান চুরি করে।
আসামি সাজু আহমেদ পায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫ টি চুরির মামলা পাওয়া যায়। আসামিদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই-পূর্বক আরো অটো গাড়ী উদ্ধার ও সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে জলঢাকা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোক্তারুল আলম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে তাদেরকে পুলিশ যে স্কোয়াডের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক নাগরিক ভাবনা’র অনলাইন পোর্টালটি শেখ রিফান আহমেদ-এর সম্পাদনায় পরিচালিত