আচমকা দেখলে মনে হতেই পারে এ বুঝি ওয়েইন রুনির বিখ্যাত ওভারহেড গোলটাই আবার করলেন কোন এক তরুণ। আবার উদযাপন দেখলে মনে হতে পারে তুরিনে করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলটাই যেন পুনঃমঞ্চায়িত হলো এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে। তবে বাস্তবতা হলো, এক গোল দিয়ে দুজন কিংবদন্তির কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্তার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন তরুণ আলেহান্দ্রো গার্নাচো।
Peter Drury commentary of Garnacho's goalhttps://t.co/J0JQkwLINv
— Manchester United Die Hard Fans (@DieHardUtdFans) November 26, 2023
তবে ইউনাইটেডের জয় ছাপিয়ে এদিন আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো। লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনায় জন্ম হলেও আদর্শ তিনি মানেন মেসির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। উদযাপনও করেন রোনালদোর চিরচেনা ‘স্যু’ ভঙ্গিতে। আর রোববার রাতে গুডিসন পার্কে যেন রোনালদোকেই খানিক মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ বোঝাপড়ায় বল পেয়েছিলেন ডিয়েগো দালোত। নিজের স্বভাবসুলভ ক্রসটাও করেছিলেন। তবে সেটা খানিক দূরেই ছিল গার্নাচোর জন্য। আবার উচ্চতাও ছিল কিছুটা বেশি। সাতপাঁচ না ভেবেই গার্নাচো উড়লেন শুন্যে। শরীরটাকে ভাসিয়ে যেমনভাবে গোল করলেন তাতে বিষ্মিত পুরো ফুটবল দুনিয়া।
এক যুগ আগে এমনই এক গোল করে শিরোনাম হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েইন রুনি। তার সেই গোল প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছিল। ১২ বছর পর সেই রুনির ক্লাবেরই আরেক তরুণ করেছেন অবিকল সেই বাইসাইকেল কিকের গোলটা।
বছরের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলের জন্য ফিফা ‘পুসকাস অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ২০০৬ সালে। দুদিন আগেই মাঝমাঠ থেকে গোল করে নিজেকে এই পুরস্কারের দাবিদার করেছিলেন রোনালদো। আর কাল রাতে যেন সেই তালিকায় নাম লেখালেন আর্জেন্টাইন তরুণ আলেহান্দ্রো গার্নাচো।