সাইফুল্লাহ সাইফ: কিশোরগঞ্জে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা বিপর্যস্ত জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পানি অতিরিক্ত বেড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলের খেত। নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিশোরগঞ্জ শহরের সড়কগুলো হয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। অথচ বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন এসব সড়কে ভোগান্তিও হয় সবচেয়ে বেশি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভাভুক্ত অনেক সড়কের অবস্থাই এখন নাজুক। এক দিন বৃষ্টি হলেই সড়কের অবস্থাগুলোতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনসাধারণের। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। তখন নিচু জায়গার পাশাপাশি আশপাশের বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়ে। সেই পানির সঙ্গে বাড়ির পয়োবর্জ্যসহ ময়লা-আবর্জনা সড়কে চলে আসায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুক্রবার ও শনিবার সকালে শহরের ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মেইন সড়ক সহ সব জায়গায় রাস্তাঘাট ও বাসা-বাড়িতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বছরের পর বছর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার সাথে যুদ্ধ করে আসলেও সমস্যা সমাধানে উদাসিন পৌর কর্তৃপক্ষ।
একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’
জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, ‘শহরের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ভালো না। এছাড়া পৌর এলাকার পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরে।’ ফলে জনদুর্ভোগ লেগেই আছে’।
এদিকে শুক্রবার বিকালে বৃষ্টি থামলেও রাতে আবার বৃষ্টি হয়।ফলে শহরের বহু সড়ক এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এক পথচারী বলেন, ঘরে পানি রাস্তায় পানি। এখন কোথায় যাব বুঝতে পারছিনা।
এ দিকে শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জে বৃষ্টিতে রেললাইনের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় রেললাইন ভেঙে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।