ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর অনুশাসন”এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে”। প্রধানমন্ত্রীর সে আহবানে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তার নিজস্ব প্রতিত জামিতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান করে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। যা বর্তমানে সান ফ্লাওয়ার গার্ডেন নামে পরিচিতি পেয়েছে।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ,জামালপুর- ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঠিক পাশে মুক্তাগাছা উপজেলার পৌরসভার মনিরামবাড়ি নামক স্থানে ১ একর প্রতিত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি।
সূর্যমুখী বাগানে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। সবুজ পাতার ভেতর থেকে মাথা উঁচু করে প্রকৃতিতে নিজের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে সূর্যমুখী ফুলগুলো। সূর্যমুখীর হাসিতে নজর কেড়েছে ফুল প্রেমিদের। এ ফুল দেখতে আর সূর্যমুখী বাগানে নিজেদের ছবি,সেলফি তুলতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ প্রায় প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারও মানুষ।
সরেজমিন সান ফ্লাওয়ার গার্ডেনে গিয়ে দেখা গেছে,প্রকৃতির মাঝে নিজের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে সূর্যমুখী ফুলগুলো। সবুজ গাছে ফুটে আছে শত শত সূর্যমুখী ফুল।প্রতিনিয়ত মিষ্টি হলুদ রঙের সূর্যমুখী দেখতে সকাল বিকাল ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর- দূরান্ত থেকে আসছেন পর্যটকরা। যেন মিষ্টি হলুদ রঙের সূর্যমুখীতে সেজেছে প্রকৃতি। পথচারী’সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ফুল ও প্রকৃতি প্রেমিগণ সান ফ্লাওয়ার গার্ডেনে আসছেন মনকেড়ে নেওয়া দৃশ্য দেখার জন্য। এ যেন ফুল ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার অন্যরকম অনুভূতি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ১ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি।
স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের ফেসবুক ওয়ালে ইতিমধ্যে এ বাগানের বিভিন্ন ছবি আপলোড করেছেন অনেকেই। সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিনিয়ত দর্শনার্থী ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ দল বেঁধে আসছেন বাগান দেখতে। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিমায় সূর্যমুখী ফুলকে পাশে নিয়ে ছবি তুলছেন অনেকেই।কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত,কেউ ব্যস্ত ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করতে। আবার অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আসছেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে,সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
জামালপুর থেকে আসা কলেজ ছাত্র স্বাধীন বলেন,ফেসবুকে এ বাগেন একটি পোস্ট দেখে আমি ও আমার বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। ফুলের বাগান ঘুরে ভালোই লাগছে আমাদের।
সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে আসা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান জানান,প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন “এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে”। সেই দৃষ্টান্ত রেখেছেন প্রতিমন্ত্রী।এ সূর্যমুখী বাগানে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগে ছবি তোলা হয়েছে। সত্যিই মন ভালো করে দেওয়ার মতো সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেনিনা পারভীন জানান,প্রতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যাবহার কিভাবে নিশ্চিত করা যায় এমন পরামর্শ চাইলে প্রতিমন্ত্রী (স্যার) কে আমরা সূর্যমুখী চাষের পরামর্শ প্রদান করা হয়। পরামর্শ অনুযায়ী সূর্যমুখী চাষ করার ভালো ফুল ও ফল হয়েছে। ওই বাগান দেখে অনেকেই সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি জানান,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সকলেই সাড়া দিয়ে প্রতি ইঞ্চি প্রতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে উৎসাহিত হয়। এক একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। কম খরচে ফলনও হয়েছে চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফুল এসেছে।একদিকে যেমন ফুলের সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অপর দিকে এ ফুলের বীজ বেঁচেও লাভবান হবেন কৃষকরা।