ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ সদর থানায় দায়ের করা হয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা প্রতারণা করে ১৫ হাজার ৩শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রবিবার (১২ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সিআই পাড়াস্থ সদর সার্কেল অফিস সংলগ্ন মেসার্স ইউরেকা কম্পিউটার কম্পোজ এন্ড টেলিকম মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনাটি ঘটে। রবিবার সন্ধা ৫.৪৫ মিনিট এমন সময় শ্যামলা গড়ন একজন মহিলা আসলেন-মেসার্স ইউরেকা কম্পিউটার কম্পোজ এন্ড টেলিকম ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে। ১৫ হাজার টাকা পাঠাবেন তার এ্যাকাউন্ট নম্বর দিলেন, তাহার কাছে জানতে চাওয়া হলো নম্বর ঠিক আছে কিনা ? বললেন ঠিক আছে। টাকা পাঠানো হলো এরপরে প্রতিষ্ঠানের মালিক তাহার কাছে টাকা চাইলে তিনি বলেন, আরো ৫ হাজার টাকা পাঠান। প্রতিষ্ঠানের মালিক টাকা চাইলে তিনি পরে গড়িমসি করতে থাকেন।তখন বলেন যে, আমার মোবাইল থেকে টাকা ফেরত নেন। তিনি যে পিন নম্বর দেন তা থেকে টাকা উত্তলোন করতে গেলে রিপ্লাই আসে যে আপনি ভুল পিন নম্বর দিয়েছেন। এর পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক নগদ ব্যাংকিং কর্মকর্তাকে ডেকে আনেন। তিনি নতুন নগদ এ্যাপস সেট করে দিলে সেখানে দেখানো হয় যে তার এ্যাপসটি ব্যাবহার করে কে বা কাহারা প্রথমে ৫ হাজার টাকা, ৫.৫৭(বিকাল) মিনিটে ০১৯১৮৮৪৯৫৯০ নম্বরে ক্যাশ আউট, পরে ১০ হাজার টাকা, ৫.৫৯(বিকাল) মিনিটে ০১৩০৬৯৬৪০৪০ ক্যাশ আউট করে নেয়। এবং তিনটি নম্বরে মোবাইল ০১৬১৩০২৭৪৪২, ৬.০৪ (বিকাল) মিনিটে ৭৮ টাকা ০১৬১৩০২৭৪৪২ এই নম্বরে ১০০ টাকা ০১৬১৬৮৪৬৯৮১ ৬.০৮(বিকাল) মিনিটে ২৮ টাকা রিচার্জ করে নেয়। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সারেঙ্গকাঠী গ্রামের রবিউল শরিফের স্ত্রী মোসা: লাকি বেগম। লাখি জানান, আমি নগদ এজেন্ট এ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে ১৫ হাজার ৩শ টাকা আমার মোবাইল নম্বরে ০১৭০০৮৮২২০৪ ক্যাশ ইন করি। এমতবস্থায় কিছুক্ষণের মধ্যে লক্ষ্য করি যে আমার নগদ এ্যাপস্ ব্যবহার করে কে বা কারা টাকাগুলো ক্যাশ আউট করে নিয়ে গেছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আঃ জাঃ মোঃ মাসুদুজ্জামান জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছেন । একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক নাগরিক ভাবনা’র অনলাইন পোর্টালটি শেখ রিফান আহমেদ-এর সম্পাদনায় পরিচালিত