1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. srhafiz83@gmail.com : Hafizur Rahman : Hafizur Rahman
  6. elmaali61@gmail.com : Elma Ali : Elma Ali
শরণখোলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা'র বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ - The Nagorik Vabna
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সংবাদ সম্মেলন আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইসলামী ব্যাংকে মাসব্যাপী গ্রাহক সেবা  গোয়ালন্দে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে অটোচালকদের বিক্ষোভ  কিশোরগঞ্জে আগুনে পুড়ে ৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভস্মিভুত দেশের মানুষের পরিচয় তাঁরা বাংলাদেশী: ড. মঈন খাঁন  গাজীপুরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামী র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার  দেয়ালে দেয়ালে স্বাধীনতা  সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ রূপগঞ্জবাসী 

শরণখোলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত
মোঃ শাহাদাত হোসাইন, শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় এর বিরুদ্ধে শিক্ষক ডায়েরী, ক্যাসমেন্ট এরিয়ার ম্যাপ ও উপকরণ বিতরণের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ এ অভিযোগ করেন। আর এ দূর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় শরণখোলা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী  শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন ধরে তার অফিসের কর্মচারী ও শিক্ষক নেতাদের সহযোগীতায় উপজেলার ১১৪ টি স্কুলে শিক্ষক ডায়েরী, ক্যাচমেন্ট এরিয়ার
ম্যাপ ও উপকরণ বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন তথ্য চিত্র পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিক্ষকদের ডায়েরীর মূল্য ৩শ ৫০ টাকা হলেও তিনি চাপ প্রয়োগ করে সে ডায়েরীর মূল্য ৭থশ ৫০ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া উপজেলার
১১৪ টি স্কুলে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ম্যাপ ডিজিটাল আকারে তৈরি করে তা ১৫শ টাকা করে বিক্রি করেছেন। শিক্ষকদের ধারনা এ ম্যাপের মূল্য ৪থশ থেকে ৫থশ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া ১১৪ টি স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার লক্ষে চট্টগ্রামে
কর্মরত মোঃ শহিদুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা উপকরণ তৈরি করার চুক্তি করেন। যার সহযোগীতায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের দু-একজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক রয়েছেন বলে জানা গেছে। যে সকল উপকরণ সমূহ বিভিন্ন স্কুলে সরবরাহ করা হয়েছে তার মূল্য নির্ধারণ করেছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায়। পুরানো স্কুলের জন্য ৭ হাজার টাকা এবং নতুন স্কুলের জন্য ৮ হাজার ৫শ টাকা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান যে উপকরণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে তার আনুমানিক মূল্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হতে পারে। শিক্ষক ডায়েরী ক্যাসন্টে এরিয়ার ম্যাপ ও উপকরণ বিক্রি করে অন্যায় ভাবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার উপরে অর্থ অনৈতিক ভাবে আদায় করে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
আর এতে কিছু দালাল শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা সহযোগীতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম পকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক জানায়,বিধান চন্দ্র রায় বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শণে গেলে ৫থশ টাকার নিচে সম্মানি গ্রহণ করেন না। এছাড়া তিনি শিক্ষকদের উপরে চাপ প্রয়োগ করে এ সকল সামগ্রী বিক্রি করায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগসাজশে এ অপকর্মগুলি করছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
তিনি খুলনায় ৫তলা বাড়ি নির্মান করছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,শিক্ষকদের সম্মতিতে উপকরণ ও ক্যাসমেন্টএরিয়ার ম্যাপ দেয়া হয়েছে। তবে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে তা তাকে ফাসানোর জন্য একটি মহলের ষড়যন্ত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা উপকরণ প্রতিটি স্কুলে নেয়ার বিধান থাকলেও শিক্ষক নেতারা এগুলি দেখাশুনা করেন। অতিরিক্ত টাকা কিভাবে আদায় করেছেন জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, তিনি বিষয়টি  জানেন না তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?