1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. srhafiz83@gmail.com : Hafizur Rahman : Hafizur Rahman
  6. elmaali61@gmail.com : Elma Ali : Elma Ali
দ্বিগুণ জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সীমানা!  - The Nagorik Vabna
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সংবাদ সম্মেলন আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইসলামী ব্যাংকে মাসব্যাপী গ্রাহক সেবা  গোয়ালন্দে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে অটোচালকদের বিক্ষোভ  কিশোরগঞ্জে আগুনে পুড়ে ৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভস্মিভুত দেশের মানুষের পরিচয় তাঁরা বাংলাদেশী: ড. মঈন খাঁন  গাজীপুরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামী র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার  দেয়ালে দেয়ালে স্বাধীনতা  সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ রূপগঞ্জবাসী 

দ্বিগুণ জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সীমানা! 

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
  • ৫২ বার পঠিত
বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো: খাতা-কলম আর বিশিষ্টকর্তাদের মৌখিকভাবে আলোচনায় থাকলেও তিন যুগ ধরে বাড়েনি খুলনা মহানগরীর সীমানা। অথচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ জনসংখ্যা। পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত নগরায়ন উল্লেখ্য ৪৫ দশমিক ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এবং ১৫ লক্ষ জনবসতি নিয়ে খুলনা নগরের ৩১ টি ওয়ার্ড দ্বারা  খুলনা  সিটি কর্পোরেশন এলাকা গঠিত যার এক পাশ দিয়ে রুপসা ও ভৈরব নদী প্রবাহিত এবং শহরটির মধ্য রয়েছে রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, আন্তজেলা বাস টার্মিনাল, ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউজ ময়দান, এবং বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সহ অসংখ্য শিল্প কল কারখানা। রয়েছে নতুন পুরাতন মিলে মোট সাতটি  থানা, কোর্ট আদালত, জেলখানা সাথে পুলিশ লাইন ডিসি অফিস এসপি অফিস বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাসপোর্ট অফিস সহ অসংখ্য সরকারি দপ্তর। শহরটিতে সকাল হলে আশেপাশের জেলা থেকে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ এসে ভিড় জমায়  বিভিন্ন কাজের তাগিদে। তাছাড়া অপর দিকে  ইতিহাসের সাক্ষ্য প্রমাণে রয়েছে  খুলনা এক সময় ছিল শিল্পনগরী খ্যাত অন্যরকম শিল্পাঞ্চল। অসংখ্য শিল্পের অবকাঠামোগত পদচারনায় উৎপাদন মুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার শ্রমিকদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতো। অপরদিকে খুলনা রূপসা নদীর এপার ওপার দিয়ে অসংখ্য মাছ কোম্পানি দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে পানির সোনা অর্থাৎ চিংড়ি মাছ উৎপাদন  করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে  সরকারি খাতে যোগানদিত শত শত  কোটি টাকার রাজস্ব।  সবকিছু মিলে খুলনা শহর ছিল এক সময়কার অর্থনৈতিক উপার্জনের অন্যতম চালিকাশক্তি। দিনে দিনে রুগ্ন হয়েছে শিল্প বন্ধ হয়েছে মিল কলকারখানা। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে খুলনা শহর এখন ঘন জনবসতির কারণে ঘিঞ্জি শহরের রূপনিলেও বাড়েনি শহরের আয়তন। পাশাপাশি গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান।যদিও শহরটির আয়তন বৃদ্ধির ব্যাপারে সিটি  কর্পোরেশনের প্রধান প্রধান সংশ্লিষ্ট কর্তাগণ সহ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিষদ এবং  সরকার দলীয় রাজনৈতিক বিশেষ বিশেষ  ব্যক্তিবর্গদের মৌখিক পরিকল্পনার নকশায়
সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বৃদ্ধি পরিসরের বিষয়ে তাদের আলোচনার কেন্দ্রস্থলে উঠে আসলেও আজ পর্যন্ত হয়নি সুষ্ঠু সমাধান  বিষয়টি আলোচনা আর খাতা পত্র লিপিবদ্ধ থাকলেও তিন যুগেও বাড়েনি  এক ইঞ্চি সীমানা।আরো উল্লেখ রয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর অধিক্ষেত্র গঠিত মোট ১৪ টি মৌজা নিয়ে।
তার মধ্য রয়েছে লবণচরা, টুটপাড়া, বানিয়াখামার, হেলাতলা, ছোট বয়রা, বয়রা, মুজগুন্নি, গোয়ালপাড়া, রায়ের মহল, পাবলা, দেয়ানা (আংশিক) দৌলতপুর, মহেশ্বর পাশা এবং মীরেরডাঙ্গা আর এ সকল মৌজা অন্তর্ভুক্ত করে ৯০ দশকে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশন। আরএ সকল মৌজা গুলো মূলত স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেও স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতাদের রয়েছে হস্তক্ষেপ।
পর্যায়ক্রমে শহরের লোক সংখ্যা ও শহরের আশেপাশে জনবসতি  স্থাপনা গড়ে ওঠে পরে  ২০০৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্রথমবারের মতো নগরের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের ২০ টি মৌজা কেসিসির অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাব পাঠানো হলেও ৭ বছরে নানান জটিলতার অজুহাতে কোন কাজই হয়নি। তবে  ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর নগরের সীমান্তবর্তী এলাকার হরিণটানা, লবণচড়া, আরংঘাটা নামে নতুন তিনটি থানা স্থাপন করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি মহানগরের নতুন থানা হওয়ার প্রস্তাব পরিবর্তন এনে এসব থানা এলাকায় ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে এসকল  মৌজা কেসিসির মধ্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি কেসিসির সাধারণ পরিষদ ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয়।
সীমানা সম্প্রসারণের পর ২০১৪ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মতামত জানতে চায় জেলা প্রশাসন। তবে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন আপত্তি শেষে ২০২১ সালের মহানগরের আশেপাশের মোট ১৮টি মৌজা ৪০ দশমিক ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বর্ধিতকরণের সংশোধিত প্রস্তাব পাঠানো হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। ওই প্রস্তাবনা সচিব কমিটির সভায় উত্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হলে গত দুই বছর ধরে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পের বর্ধিতকরণ ১২ টি মৌজা হচ্ছে মাথাভাঙ্গা, খোলাবাড়িয়া, হরিনটানা, ডুবি, আলু তলা, কৃষ্ণনগর, ঠিক্রাবাদ, চক, মথুরাবাদ,  যোগীপোল ও শ্যামগঞ্জ এছাড়া সাঁচিবুনিয়া, চক, আসানখালি, বিল পাবলা, দেয়ানা, গিলাতলা ও আটরা এই ছয়টি মৌজা আংশিক অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা রয়েছে। শহর নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক নানা স্থাপনা বসতি গড়ে উঠলেও নাগরিক বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব এলাকার মানুষ। বিশেষ করে ড্রেনের ব্যবস্থা ওয়াসা সড়ক বাতি সুপেয় পানি সহ কোন সুবিধা তারা পায়না বলে সকল এলাকার বসতিদের ক্ষোভের কোন অন্ত নাই। শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ ওই সকল এলাকা সিটি কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত হবে বিধায় সেখানে অল্প দামে জমি কিনে বসতবাড়ি গড়ে উঠলেও তার ক্ষেত্রে কোনো আশার আলো আজ পর্যন্ত  দেখেনি। উপরন্ত এসকল এলাকা দিয়ে বর্ষার মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের কোন সুব্যবস্থা না থাকায় এলাকার মানুষ থাকে চরম দুর্ভোগে। পাশাপাশি সড়কে সরকারি বাতি না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে ফলে এসকল এলাকার জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। তবে সীমানা বর্ধিতকরণের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাজেট পাসও করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে অগ্রগতিমূলক কর্মকাণ্ড গোচারীভূত হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন ভবিষ্যতে নিরাপদ নগরীর জন্য দ্রুত শহরের বর্ধিতকরণ করা প্রয়োজন। কারণ ছোটো এই নগরীতে বর্তমান যে পরিমাণে জনবসতি সেক্ষেত্রে আয়তন বৃদ্ধি না করলে এত পরিমানে মানুষ সামাল দেওয়াটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। ফলে কর্তৃপক্ষকে সুপরিকল্পিতভাবে দ্রুত নগরের সীমানা বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?