অরবিন্দ রায় : মাদক মুক্ত বাংলাদেশ চাই। দিনে দিনে দেশে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শহর, উপশহর, গ্রাম- গঞ্জে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। বেশির ভাগ বড়লোকের বখাটে যাওয়া তরুণরা মাদক সেবার বেশি আসক্ত। সেই সাথে মধ্যবৃত্ত ও গরীবের সন্তানেরাও মাদক সেবায় জড়িয়ে পড়েছে। বাবা মা সন্তান কে নেশা টাকা দিতে না পারলে মা, বাবার ওপর সন্তান অমানবিক নির্যাতন করে । সন্তানের অত্যাচার সইতে না পেরে অনেক মা সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আবার নেশার টাকা সন্তানকে না দেয়ায় সন্তানের হাতে মা, বাবাকে হত্যার ঘটনাও ঘটে।প্রতিদিন দৈনিক প্রএিকা, অলনাইন প্রএিকা,টিভি , ফেইসবুক খুললেই মাদকের খবর দেখতে পাওয়া যায়। এ সব তরুনরা শুধু মাদক সেবন করেই শান্ত হয় না। মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্য চুরি, ছিননতাই এমন কি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। এ সব মাদক সেবীরা ধর্ষণের সাথেও জড়িয়ে পড়ছেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশের মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। মাদকাসক্তের শতকরা ৮০ ভাগ কিশোর ও তরুণ। মাদকাসক্তির কারনে তরুণ ও নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে ফলে ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অনৈতিক ও অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
দেশে তরুনদের পাশাপাশি অনেক তরুনীরাও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তরুনীরা মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।মাদক দ্রব্য গ্রহণ করে তরুনরা নেশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশের যুব সমাজ যদি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে তবে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়বে। দেশে হিরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথেটিন, মদ, দেশীয় মদ, গাঁজা, সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য ও যৌন উত্তেজক বিভিন্ন জিনিস বন্ধ করতে হলে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন । মাদক বন্ধ করতে পারলেই ধর্ষন কমে যাবে। মাদক সেবনকারী পরিবারের শএু, সমাজের শএু, দেশের শএু,। মাদক সেবনকারীদের কোন ক্ষমা নেই, তাদের সাথে কোন আপোষ নেই। দেশের মাদক দ্রব্য খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে । প্রত্যন্ত গ্রামেও হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য। হেরোইন, কোকেন, মরফিল, প্যাথডিন, অ্যালকোহল, দেশীয় মদ, গাঁজা, ভাঙ, অফিম। এ সব মাদক সেবনের ফলে যুব সমাজ শারীরিক ও মানষিক উভয় প্রকার ক্ষতি সাধন হয়। মাদকের ছোবলে অনেক তরুন হচ্ছে সর্বস্বান্ত। অনেক এলাকায় মাদক দ্রব্য সেবনকারীরা মিলে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয় নির্দেশনা মতে, দেশের স্কুল, কলেজে মাদক বিরোধী কমিটির গঠন করেছেন।” মাদকে ছেড়ে কলম ধরি, মাদক কে না বলি” এই শ্লোগান নিয়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রচারণা চলছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদক বিরোধী আলোচনা সভার আয়োজন করছেন। শুধু সচেতনতা, আলোসভা করে মাদক বন্ধ করা যাবে না।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে।
২৬ শে জুন গ্রামে গ্রামে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালন করে জনগনকে সচেতন করতে হবে।আমরা মাদকমুক্ত যুব সমাজ চাই । মাদক নয়, মৃত্যু নয়, মাদক মুক্ত যুব সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
দেশের মাদক দ্রব্য খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য। হেরোইন, কোকেন, মরফিল, প্যাথডিন, অ্যালকোহল, দেশীয় মদ, গাঁজা, ভাঙ, অফিম। এ সব মাদক সেবনের ফলে যুব সমাজ শারীরিক ও মানষিক উভয় প্রকাশ ক্ষতি সাধন হয়।
মাদক প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্হায়ীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, বে- সরকারি সংগঠন, মসজিদের ইমাম, জন প্রতিনিধি, পিতা মাতা, এলাকার সচেতন মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কে মাদক প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।