1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. srhafiz83@gmail.com : Hafizur Rahman : Hafizur Rahman
  6. elmaali61@gmail.com : Elma Ali : Elma Ali
চায়না-দুয়ারির ও কারেন্ট জালের ফাঁদে ধ্বংস দেশীয় প্রজাতির মাছ - The Nagorik Vabna
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...

চায়না-দুয়ারির ও কারেন্ট জালের ফাঁদে ধ্বংস দেশীয় প্রজাতির মাছ

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৬ বার পঠিত
উত্তম কুমার, আটোয়ারী (পঞ্চগড়) : চায়না-দুয়ারির ফাঁদে ধ্বংস দেশীয় প্রজাতির মাছ।
বর্ষাকাল মানেই পানিতে চারদিক থৈ থৈ পানি খালে-বিলে বর্ষার নতুন পানিতে দেখা মেলে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ। এ বর্ষাতে ও আটোয়ারী  উপজেলার খালে-বিলে তেমন দেখা মিলছে না দেশীয় প্রজাতির মাছের ৷খাল, বিলে কারেন্ট জালের পাশাপাশি চায়না দুয়ারি নামের একপ্রকার ফাঁদ ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করে চলছে এক শ্রেণির অসাধু মাছ শিকারিরা। এ ফাঁদের কারণে খালে-বিলগুলো দিন দিন মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।  এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে এটা এই জাল  কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর এক ফাঁদ।
জানা গেছে , এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ নং বলরামপুর ইউনিয়নে বেশির ভাগ খাল-বিলের দখলে। বর্ষা হলেই এসব খাল-বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর সে সময় নতুন পানিতে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ ধরতো মৎস্য শিকারিরা। গত ১০ বছর আগেও এ উপজেলায় মাছ ধরার জন্য দেশীয় ফাঁদ ব্যবহার করা হতো। ছাই, ফলো, ঠেলা জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে গেলে মাছ কমে যাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল মাছের বংশ বিস্তার নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসাধু শিকারিরা নিজেদের খাওয়া ও বিক্রির জন্য কারেন্ট জাল এবং চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করা এক মৎস্য শিকারি জানান, এ জালে যেকোনো মাছের পাশাপাশি সাপ, ব্যাঙসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ধরা দেয়। খালে-বিলে নতুন পানি আসলেই তারা এ জাল ব্যবহার করেন বলেও জানান তিনি।
সূত্রমতে, কয়েক দশক আগেও এ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় একশো প্রজাতির মাছ ছিল। মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতায় এসব মাছের অনেক প্রজাতি এখন আর চোখে পড়ে না। বর্ষা মৌসুমে নদী, খাল ও বিল থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে ব্যাপক হারে ডিমওয়ালা মাছ ধরার কারণে দেশি মাছের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়।
৩ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোপাল চন্দ্র বর্মন জানান, গত ১০-১৫ বছর আগেও মাছ ধরার ছাই ব্যবহার করে ২-৩ ঘণ্টায় যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেতো তা দিয়ে দুইবার তরকারি খাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে খালে বিলে মাছই নেই। কারেন্ট জাল ও চায়না জালে সব মাছ ধরা পড়ে যায়৷ ফলে মাছের বংশ বৃদ্ধিই হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ৫ নং বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: দেলোয়ার হোসেন  বলেন, বিভিন্ন কারণেই দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে। এরমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
 এছাড়া শুকনো মৌসুমে এগুলোতে পানি না থাকায় দেশি প্রজাতির মাছ কমে যাওয়ার একটি কারণ৷
অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের ব্যাপারে আমি উর্ধতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলবো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?