1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. mdr028999@gmail.com : Rayhan : Md Rayhan
আওয়ামী লীগের আজ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী - The NAGORIK VABNA
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
দলগুলোর সঙ্গে শনিবার থেকে আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিকদের যে কাজ মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না সোহানা সাবা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন সহিংসতায় খাগড়াছড়িতে বিধ্বস্ত ঘটনাস্থল জেলা প্রশাসনের পরিদর্শন নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত সরকারি কর্মকর্তা দীর্ঘ নয় বছর পর দ্বায়িত্ব ফিরে পেলেন প্রধান শিক্ষক রংপুর সুগার মিলস্ পূর্নরায় চালু করার দাবীতে মানববন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত  মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত ওলামা সম্মেলন-২৪ অনুষ্ঠিত  কোটচাঁদপুরে ওয়াকফ্ এস্টেটের মুতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে এস্টেটের সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ ক্রয়কৃত জমি প্রায় ৪০ বছরেও মেলেনি দখল দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ঝিনাইদহের আব্দুল খালেক

আওয়ামী লীগের আজ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
  • ১৫২ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ : আজ ঐতিহাসিক ২৩ জুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২৪। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটি এবার পা রাখছে ৭৬ বছরে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটির যাত্রা শুরু হয়। পরে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটাতে এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম ব্যবহার শুরু হয়।
বাংলাদেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকা-কে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। উপরন্তু দেশের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, একটি নতুন মানচিত্রের অমর রূপকার। বড়বিচিত্র, বর্ণাঢ্য আর কীর্তিতে ভরা তাঁর সারাটা জীবন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশকে সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সদা সচেস্ট। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণার্থে গৃহীত নানামুখি পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত পদক্ষেপ যেমন ছিলো, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে গ্রহণ করেছিলেন বাস্তব ভিত্তিক ও কার্যকরী নানা ব্যবস্থা। তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। এ দু’টি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে প্রোজ্জ্বল মহিমা। ইসলাম প্রচার-প্রসারে তাঁর অসামান্য অবদানের বিষয়টি আমরা অনেকে পুরোপুরি ওয়াকেফহাল নই। অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী-স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মতলববাজরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দলকে সর্বদা ইসলাম-বিরোধী শক্তি হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চালায় নানা রকম ভিত্তিহীন অপপ্রচার। ইসলাম প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান সমূহের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে আলোকপাত করা  হলো : –
ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর সপ্তম পূর্ব পুরুষের বঙ্গে আগমন : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত টুঙ্গিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ব পুরুষ ছিলেন দরবেশ শেখ আউয়াল। (শেখ মুজিবুর রহমান,পিতা শেখ লুৎফুর রহমান, পিতা শেখ আব্দুল হামিদ, পিতা শেখ তাজ মাহমুদ, পিতা শেখ মাহমুদ ওরফে তেকড়ী শেখ, পিতা শেখ জহির উদ্দিন,পিতা দরবেশ শেখ আউয়াল।) তিনি হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)-এর প্রিয় সঙ্গী ছিলেন। ১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম প্রচারের জন্য তিনি বাগদাদ থেকে বঙ্গে আগমন করেন। পরবর্তীকালে তাঁরই উত্তর-পুরুষেরা আধুনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। জাতির জনক হচ্ছেন, ইসলাম প্রচারক শেখ আউয়ালের সপ্তম অধঃস্তন বংশধর। বঙ্গবন্ধুর মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। নানার নাম ছিল শেখ আব্দুল মজিদ। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমানের (মৃত্যু : ১৯৭৪ খ্রি: ) সুখ্যাতি ছিল সূফী চরিত্রের অধিকারী হিসেবে। জাতির জনক নিজেও ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও ইসলামী তরীকা অনুযায়ী জীবন যাপনে অভ্যস্ত।
কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন পাশের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অনমনীয় অবস্থান : ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে পাকিস্তান বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। একথার জবাবে আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য, আমরা লেবাস সর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায়, অত্যাচার ,শোষণ-বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদের বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলাম বিরোধী আইন পাশের কথা ভাবতে পারেন তারাই, ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফারস্থা করে তোলার কাজে।”
ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় : ১৯৭২ সালের ৪ অক্টোবর খসড়া সংবিধানের ওপর আলোচনার জন্য আয়োজিত সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ দৃঢ়কন্ঠে ঘোষণা করেন: “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্ম-কর্ম করার স্ব-স্ব অধিকার অব্যাহত থাকবে। আমরা আইন করে ধর্ম চর্চা বন্ধ করতে চাইনা এবং তা করবওনা। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রের কারো নেই। হিন্দুরা তাদের ধর্ম-কর্ম পালন করবে, কেউ তাদের বাধা দিতে পারবেনা, বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কেউ তাদের বাধা দিতে পারবে না। আমাদের আপত্তি হলো এইযে, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবেনা। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব,ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে”।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা : ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে মহান ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার মহান লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধান মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ জারি করে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। “বায়তুল মোকাররম সোসাইটি ” এবং “ইসলামিক একাডেমী ” নামক তৎকালীন দু’টি সংস্থার বিলোপ সাধন করে এই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারী অর্থে পরিচালিত অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে নন্দিত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এ যাবত পবিত্র কুরআনের বাংলা তরজমা,তাফসীর, হাদীস গ্রন্থের অনুবাদ, রাসূল (সাঃ)-এর জীবন ও কর্মের উপর রচিত ও অনূদিত গ্রন্থ, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামী আইন ও দর্শন,ইসলামী অর্থনীতি, সমাজনীতি, সাহাবী ও মনীষীগণের জীবনী ইত্যাদি নানা বিষয়ে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় সহ সারা দেশের ৬৪টি জেলা কার্যালয়, আর্ত-মানবতার সেবায় ২৮টি ইসলামিক মিশন, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। বৃহত্তর কলেবরে ২৮ খন্ডে ইসলামী বিশ্বকোষ, ১২ খন্ডে সীরাত বিশ্বকোষ প্রকাশ করে ধর্মতাত্ত্বিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছে।
সীরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠা : বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় সীরাত মজলিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। সীরাত মজলিশ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে রবিউল আউয়াল মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করে। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন।
হজ্জ্ব পালনের জন্য সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা : পাকিস্তান আমলে হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য কোন সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা ছিলনা। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য সরকারী তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ্জ্ব ভ্রমন কর রহিত করেন। ফলে হজ্জ্ব পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়। বঙ্গবন্ধু শাহাদাত লাভের পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কথায় কথায় নিজেদেরকে ইসলামের সেবক দাবী করলেও তাদের আমলে সরকারী অনুদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যা এদেশের অনেকেই হয়ত জানেন না।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুণর্গঠন : ইসলামী আকীদা ভিত্তিক জীবন গঠন ও দ্বীনি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুণর্গঠন করেন। পূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড স্বায়ত্ত শাসিত ছিলনা। বঙ্গবন্ধুই প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে স্বায়ত্ত শাসন প্রদান করে এর নাম রাখেন ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।’ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুণর্গঠন বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রসারের এক মাইল ফলক। জাগতিক শিক্ষার সাথে ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষার আধুনিকীকরণের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করণ এবং মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সরকারী চাকুরীর নিশ্চয়তা ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিলেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আলী আহসান তার “বঙ্গবন্ধু: যেমন দেখেছি” গ্রন্থে উলে¬খ করেন, মাদ্রাসার জন্য সরকারী অনুদান বন্ধের একটি প্রস্তাব সম্বলিত নথি বঙ্গবন্ধুর নিকট উপস্থাপন করা হলে বঙ্গবন্ধু ফাইলে লিখেন যে, “মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ এতদিন ছিল, সেটাই থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এ বরাদ্দ আরো বাড়ানো যায় কিনা এবং কতটা বাড়ানো যায়, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।”
বেতার ও টিভিতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রচার : বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তারই নিদের্শে সর্ব প্রথম বেতার ও টেলিভিশনে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পবিত্র কুরআন ও তার তাফসীর এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করার সুব্যবস্থা করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ), শব-ই কদর, শব-ই বরাত উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষণা : ধর্মীয় দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন এবং উলে¬খিত দিবসসমূহের পবিত্রতা রক্ষার্থে সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মদ, জুয়া ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ নিষিদ্ধকরণ : ইসলামের নাম নিয়ে পাকিস্তানিরা দেশ পরিচালনা করলে ও তাদের সময়ে মদ,জুয়া,নিষিদ্ধ ছিলনা। অথচ বঙ্গবন্ধু সরকার আইন করে মদ,জুয়া ও ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোড়দৌড়ের নামে জুয়া,লটারী এবং গেট-এ-ওয়ার্ড প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী অনুষ্ঠানাদিতে বিদেশীদের জন্য মদ পরিবেশন বন্ধ করে দেন। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এ প্রসঙ্গে প্রণিধান যোগ্য “আমাদের দেশে পাকিস্তান আমলে ইসলাম বিরোধী বহু কাজ হয়েছে। রেসের নামে জুয়া খেলা রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃত ছিল। আমি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দিয়েছি,পুলিশকে তৎপর হতে বলেছি, শহরের আনাচে কানাচে জুয়ারীদের আড্ডা ভেঙ্গে দিয়েছি। আমি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলি, ধর্ম নিরেপেক্ষতা ধর্মবিরোধীতা নয়। আমি মুসলমান। আমি ইসলামকে ভালবাসি। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন,দেখবেন এদেশে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড কখনোই হবেনা” (সৈয়দ আলী আহসান, বঙ্গবন্ধু: যে রকম দেখেছি, পৃ;১৬)
বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গিতে সরকারী জায়গা বরাদ্দ দান : বিশ্ব ইজতিমা শান্তিপূর্নভাবে সামাধা করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সে হতে অদ্যাবধি তাবলীগ জামায়াত ঐ স্থানে বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।
কাকরাইলের মারকাজ মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য জমি বরাদ্দ দান : তাবলীগ জামায়াতের মারকায বা কেন্দ্র নামে পরিচিত কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ কল্পে রমনা পার্কের অনেকখানি জায়গার প্রয়োজন যখন দেখা দেয়,তখন রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় কাকরাইল মসজিদকে দেয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করে দেন।
রাশিয়াতে প্রথম তাবলীগ জামায়াত প্রেরণের ব্যবস্থা : রাশিয়া তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র। সে দেশে বিদেশ থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য কেউ অনুমতি পেতনা। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়া সহযোগিতা করায় বঙ্গবন্ধুর সাথে সেদেশের নেতৃবৃন্দের একটি সুদৃঢ় বন্ধুত্বের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতার পর সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রথম তাবলীগ জামায়াত প্রেরণের ব্যবস্থা করেন।
আরব-ইসরাঈল যুদ্ধে আরব বিশ্বের পক্ষ সমর্থন ও সাহায্য প্রেরণ : ১৯৭৩ সালে আরব ইসলারইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষ সমর্থন করেন এবং এই যুদ্ধে বাংলাদেশ তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখার চেষ্টা করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থনে ১লক্ষ পাউন্ড চা,২৮ সদস্যের মেডিকেল টিমসহ একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী প্রেরণ করা হয়।
ওআইসি সম্মেলনে যোগদান ও মুসলিম বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুসলিম বিশ্বের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ও আই সি) অধিবেশনে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশকে এই সংস্থার অন্তর্ভূক্ত করার মধ্যদিয়েই বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের স্থান করে নেন। ও আই সি সম্মেলনে যোগদান করে ইসলাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু মুসলিম নেতৃবৃন্দেরস সামনে যে বক্তব্য তুলে ধরেন এতে আরবসহ মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের ভাব-মর্যাদা সমুন্নত হয় এবং মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দের সাথে সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানসমূহ :
* আল-কুরআনের ডিজিটালাইজেশন
* ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ।
* দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করণ।
* যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে মহামান্য আদালতের ঐতিহাসিক রায়।
* জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্রসারণ।
* জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সুউচ্চ মিনার নির্মাণ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ সাহান সম্প্রসারণ।
# সৌন্দর্য বর্ধন ও পূর্ব সাহানের ছাদ নির্মাণ।
# জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মহিলাদের নামায কক্ষ সম্প্রসারণ।
# জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাহানের স্থান সম্প্রসারণ।
# জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম কমপ্লেক্স
# ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরী ভবন নির্মাণ।
# বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ।
# হজ্জ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুুক্তির ব্যবহার।
# জেদ্দা হজ্জ টার্মিনালে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’ স্থাপন।
# আশকোণা হজ্জক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি।
# রেকর্ড সংখ্যক হজ্জযাত্রী প্রেরণ।
# হজ্জ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকারের স্বীকৃতি।
# মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থান ও বেতন ভাতা বৃদ্ধি।
# শিশু ও গণশিক্ষা এবং কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে মাহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
# জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভূক্তি করণ।
# কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সনদের সরকারী স্বীকৃতির জন্য আলাদা কমিশন গঠন।
# ১০০০ টি বেসরকারী মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ।
# প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নাধীন।
# ইমাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
# ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন।
# ইসলামী প্রকাশনা প্রকল্প বাস্তবায়ন।
# ইসলামিক মিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা-সেবা প্রদানের ব্যবস্থা।
# মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
# ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তর।
# জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে ইসলাম শীর্ষক কর্মসূচী বাস্তবায়ন।
# প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের আলেম-ওলামাদের ভুমিকার ভূয়সী প্রশংসা।
# মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান।
# চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আন্দরকিলাহ শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নে বিশাল অংকের বাজেট অনুমোদন।
# চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপেক্স ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্তকরণ।
# পবিত্র রমযানে মসজিদে মসজিদে ব্যাপক কুরআন শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা।
# সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ।
# আন্তর্জাতিক হিফজ, ক্বিরাত ও তাফসীর প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য।
# জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মডেলে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন।
# ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন।
# প্রতি জেলা ও উপজেলা সদরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আদলে মসজিদ নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মসজিদ সরকারী করণ।
# একটি গ্রাম একটি মক্তব চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামল ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের খেদমতে যে উলে-খযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলছেন, গোটা পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল। তবুও ইসলামের লেবাসধারী একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ইসলাম-বিরোধী হিসেবে চিত্রিত করার অপ প্রয়াস অব্যাহত রাখে, যা এখনও চলছে নানা কৌশলে, নানা আঙ্গিকে।
পরিশেষে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দর্শন ও দূরদর্শিতায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ‘দাবায়ে’ রাখতে পারবে না।সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য এতগুলো মডেল মসজিদ এক বিরল ঘটনা। ইতিহাস হয়ে থাকবে শেখ হাসিনার এই কৃতিত্ব ও মুসলমানদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কথা। শুধু এই মসজিদ নির্মাণই শেষ নয়। এর আগেও মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের শান্তির বার্তা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি, দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, আলিয়া মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অন্যতম। মুসলমানদের জন্য এই যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করার পর সর্বশেষ বর্তমান সরকার সারা দেশে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাহা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ধর্মীয় দিক থেকে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যেখানে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এটি সম্পন্ন করছেন। তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের বুকে মডেল রাষ্ট্র হবে।আর যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন চিরকাল।বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামলে ইসলামের প্রচার-প্রসারে বিপুল অবদান রেখেছেন,।ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ইসলামের প্রচার-প্রসারে বিপুল অবদান রেখে যাচ্ছেন।ইসলামের এই বিশাল খেদমতের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন!
-লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?