রেদোয়ান হোসেন জনি: কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ৬ নং বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফকিরাঘোনা গ্রামের নতুন বাজার এলাকার মৃত আবুল হোসেন আমু প্রকাশ মেজরের পুত্র আমান উল্ল্যাহ আমান ১০ মাস ধরে বাড়িহারা হয়ে পড়েন। এরপর সে বান্দরবান, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে অবশেষে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটে প্রায় ৪ মাস অবস্থান করেন। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ৬০ বছর বয়সী আমান প্রিয়জনদের কাছে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়লেও কোনভাবে সে বাড়ি ফিরতে পারছিলনা।
অবশেষে বারইয়ারহাট এলাকার যুবক ইসমাঈল ভূঁইয়া, এনামুল হক রানা ও জিলানী আমানের বিষয়টি মিরসরাইয়ের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মিরসরাইটুয়েন্টিফোর টিভি ও মিরসরাইনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক এম আনোয়ার হোসেনকে জানান।
এরপর সাংবাদিক আনোয়ার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য দলিলুর রহমান ও জিল্লুর রহমান মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে বাড়িহারা আমানের বন্ধু আক্তার কামাল, বড় ভাই সালামত খাঁন, ছোট ভাই শহিদ উল্ল্যাহর সাথে যোগাযোগ করেন।
যোগাযোগের পর আমানের পরিবার আমানকে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন। এরপর সোমবার সকালে আমানের ছোট ভাই শহিদ উল্ল্যাহ ভাইকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বারইয়ারহাট ছুটে আসেন। এসময় আমানের ভাই শহিদ উল্ল্যাহ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পরে সাংবাদিক আনোয়ার, স্থানীয় যুবক এনামুল হক রানা, ইসমাঈল ভূঁইয়া, জিলানী, জুয়েল, ফাহিম ও মকসুদসহ আমানের ছোট ভাই শহিদ উল্ল্যাহর হাতে আমানকে তুলে দেন। দীর্ঘ সময় আমান ময়লাযুক্ত জামাকাপড় পড়েছিল সেগুলো বাদ দিয়ে ওই যুবকরা আমানকে নতুন গেঞ্জি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী কিনে দেন, পাশাপাশি বাস ভাড়া দিয়ে আমানকে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন। ১০ মাস পর আমানকে বাড়ি পাঠাতে পেরে খুশি সাংবাদিক আনোয়ারসহ ওই যুবকরা। এসময় তারা মানবিক কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।