নিহতরা হলেন – শাহপরানের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা মাহমুদা বেগম (৩০) ও তার ছেলে সাহাদ মোল্লা (৯), পাশের বাড়ির তার মামাতো ভাসুর রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা মনি(১৪)। তিশা দুলালপুর হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মাহমুদা বেগম ও তার ছেলে সাহাব উদ্দিন কে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী শাহপরান ঢাকায় একটি জুতা ফেক্টরীতে চাকরী করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী মাহফুজা ছেলেকে নিয়ে থাকেন মাঝে মধ্যে রাতে তার মামাতো ভাই রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা মনি মাহমুদা বেগমের সাথে থাকতেন।
বুধবার রাতে খাবার খাওয়ার পর শাহপরানের ঘরে তার কাকি মাহমুদার সাথে থাকতে আসে। কিন্ত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে তিশা মনি বাড়ি না যাওয়ায় রেজাউল করিমের বাড়ির লোকজন তাকে খুজঁতে এসে দেখে ঘরের পিছনের দরজা খোলা খাটের উপর ৩ জনের মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে তাদের শোর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন জড়ো হয়।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানায় খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনীসহ কুমিল্লার পুলিশ সুপার আসফিকুজ্জামান আকতার, হোমনা মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মীর মুহসীন মাসুদ রানা ও হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । e
নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী শাহপরান জানান, আমি ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী বাড়িতে থাকে। আমি বাড়ি না থাকলে মাঝে মধ্যে আমার ভাতিজি তিশা মনি রাতে আমার বাড়িতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে আসছি। আমার সাথে কারোর কোন শত্রুতা নেই। সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর বিচার চাই।
নিহত তিশামনির বাবা রেজাউল করিম বলেন, আমি দুলালপুর বাজারে ব্যবসা করি। তিশা মনি মাঝে মধ্যে রাতে আমার ফুফাতো ভাই শাহাপরানের ঘরে তার স্ত্রী সাথে রাতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে চলে যাই। সকাল ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনার খবর শুনেতে পাই। আমার কোন শত্রুতা নেই। এই মূহুর্তে আমি কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহতদের মাথায় আঘাতের চিহৃ আছে। ধারনা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।