মোজাম্মেল হক, (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইমরান হোসেনের অপসারণের দাবিতে ঐ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মাঠে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরাও অংশগ্রহন করেন।
মানবন্ধনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের বক্তব্যে জানান, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান হোসেন গণিত শিক্ষক দেখিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। অথচ তিনি বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারী। ফলে তিনি শ্রেনী কক্ষে গণিত বিষয়ে পাঠদান দিয়ে গিয়ে ভুল সমাধান করেন এবং নোট বুক দেখে গনিতের সমাধান করেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস. এম মোসা’র কাছে প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ (স্মারক লিপি) দায়ের করে দ্রুত তাকে অপসারণের দাবি জানান।
অভিযোগে জানা যায়, গত এক বছর থেকে তিনি প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালন থেকে তিনি বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের ফোন করে শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রধান শিক্ষক প্রাইভেট বা কোচিং করাতে পারেন না। তার কাছে যেসব শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে পরীক্ষার আগে তাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেন এবং খাতায় নাম্বার বেশি দিয়ে থাকেন ঐ শিক্ষক। অন্য দিকে যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়ে না তাদের খাতায় নাম্বার কম দিয়ে ফেল করিয়ে দেন।
এছাড়াও প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের সাথে শ্রেনী কক্ষে অশোভনীয় আচরণ করেন। তিনি নিয়ম বর্হির্ভূতভাবে পরীক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি টাকা আদায় করেন এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগে জানা যায়। তার অযোগ্যতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান হোসেন কে দ্রুত অপসারণ করে একজন প্রধান শিক্ষক দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্বে আনীত অভিযোগ শতভাগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম মোসা জানান, অভিযোগ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।