1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. mdr028999@gmail.com : Rayhan : Md Rayhan
সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ রূপগঞ্জবাসী  - The NAGORIK VABNA
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
সুজনের শার্শা উপজেলা কমিটি গঠন কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের যানজট নিরসনে পেট্রোলপাম্পটি স্থানান্তর প্রয়োজন মাদারীপুরে দুর্নীতি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে অভিনব প্রতিবাদ  মাদারীপুরে গ্রাম আদালত পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত  আমতলীতে এক দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন বাঁশখালীতে গাঁজা ও নগদ টাকাসহ এক মহিলা আটক  শিক্ষাই মানুষের উন্নতির চাবিকাঠি এই চিন্তায় এগিয়ে চলছে মহেশপুরের গোপালপুর পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাজনগর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২জন গ্রেপ্তার রাজশাহী-পুঠিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ রূপগঞ্জবাসী 

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : এক যুগ পালিয়ে থাকার পর প্রকাশ্য এসে তান্ডব শুরু করেছে রূপগঞ্জের সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুর। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, নারীকে কু-প্রস্তাবসহ যাকে তাকে  মারদর করায় গ্রামবাসী  অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ।
সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে  রূপগঞ্জের সদর ইউনিয়নের পূর্বাচল ১১ নম্বার সেক্টর হাড়ার-বাড়ি গ্রামের মৃত- হাকিম উদ্দিনের ছেলে সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুর (৪০)। তার অত্যাচারে অতিষ্ট পূর্বাচলের ১১- নাম্বার সেক্টর সহ আশেপাশের মানুষ। তাঁর  আতঙ্কে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নারীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। র‍্যাব-পুলিশের সোর্স সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুরের অত্যাচারে এলাকার নিরহ মানুষ যেনো আসহায়। কেউ তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই র‍্যাব-পুলিশ দিয়ে নিরহ মানুষদের করেন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বাচলের ৩০০-ফিট সড়কের পাশে ১১ নম্বার সেক্টরে স্থানীয় আদিবাসীদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।  সেই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও  তার হাত থেকে রেহায় পান না। প্রতিটা দোকানে ক্ষমতা দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে। কেউ টাকা না দিলে তার ওপর চলে নির্যাতন।তার হাত থেকে রেহায় পাননি পূর্বাচল ১১-নম্বর সেক্টরে অবস্থিত ইসলামীয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের কাজ করা গৃহিণী।  তাকে বিভিন্ন সময় দেওয়া হয় কুপ্রস্তাব তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে দেওয়া হয় গুম করার হুমকি দেয়। এমতবস্থায় সে কাজ ছেড়ে অন্য স্থানে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, আমি এখন এখানে আমার নিরাপত্তা চাই। তার ভয়ে আমি পালিয়েপালিয়ে থাকি।এখন আমি জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।গত ১৬- আগস্ট পূর্বাচল ১১-নম্বার সেক্টরের মটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক পলখান গ্রামের মোঃ শাকিলের দোকানে গিয়ে বাকি চান সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুর। বাকি না দেওয়ার কারনে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করেন।
পূর্বাচল উপ-শহর এখন সকলের কাছে  প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন। এখানে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন খোলামেলা পরিবেশে দূর দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা স্বামী স্ত্রী অথবা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের তার সাথে থাকা চাইনিজ কুড়াল হাতে নিয়ে ভয় ভিত্তি দেখিয়ে নিয়ে যান টাকা মোবাইল সহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র।
পূর্বাচল ১০ নম্বার সেক্টরের বাসিন্দ মোঃ নাজির মিয়ার ছেলে রনি মিয়াকে নেশা খেয়ে মাতাল অবস্থায় কোন কারন ছাড়াই পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। একই এলাকার মোঃ আনু মুন্সির ছেলে অপু ও সাকিব কে নেশা খেয়ে মারধর করেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বিগত ২০০৩ সালের দিকে হারার বাড়ি এলাকার মোঃ মোস্তফার মিয়ার দায়ের করা নারী নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামি হল এরপরে পরে এক যুগেরও বেশি সময় এলাকা ছাড়া ছিলেন সাইদুর ওরফে ইয়াবা সাইদুর।  রাজধানীর মহাখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী চিকনা মনিরের শেল্টারে থাকেন।
সেখানেও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ মহাখালী ও এর আশেপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে মানুষকে জিম্মি করে করতেন চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  সাইদুর মুঠোফোনে  বলেন,আমি  মাছ ধরি মাছ বিক্রি করে আমার সংসার চলে। মাদক বিক্রি বা এমন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত হোসেন বলেন কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?