বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো : ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ধর্মীয় রাষ্ট্র নয় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই। এই স্লোগানকে সামনে রেখে সম অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে এবং সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা কর্তৃক ঘোষিত দফা সমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে শ্রী স্বপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর পাদদেশে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৮ ঘন্টার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর দোলখোলা শীতলা মাতা ঠাকুরানীর মন্দির প্রাঙ্গণে আজ বাইশ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে অভিজিৎ সরকার রাহুলের সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবার্ট নিক্সন ঘোষ অন্যতম সভাপতি বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। এবং প্রধান অতিথি ছিলেন এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০ এসময় বিশেষ বক্তা রবার্ট নিক্সন ঘোষ বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাত ধরে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পূর্বলগ্ন থেকে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে একই সূত্রে একই গোত্রে বাংলাদেশকে একই বৃক্ষের ছায়াতলে সাম্প্রদায়িকতা নস্যাৎ করে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল তার। অথচ দেশ স্বাধীনের পর কোনো এক অপশক্তির নীল নকশার চক্রের চক্রান্তে সাম্প্রদায়িকতা দাঙ্গা হাঙ্গামা ও জাতি ভেদাভেদ প্রথা প্রচলন সৃষ্টি করেছে। তারপর একের পর এক আমরা সংখ্যালঘুরা এদের কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িত নিষ্পেষিত হচ্ছি।

তবে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তার বরাবর ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছিল হিন্দুদের বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন নির্বাচন এর পূর্বমুহূর্তে এই সরকার বিভিন্ন কৌশলে সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক একটি ভোটের দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি আরো বলেন নির্বাচন আর নির্যাতন একই সূত্রে গাথা।

এ সময় বিশেষ বক্তা যুব ঐক্য পরিষদ ছাত্র পরিষদের সকল সদস্যদের বলেন আপনারা সজাগ থাকবেন সামনে মাত্র কয়দিন পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের শারদীয় দুর্গা উৎসব আর এ দূর্গা উৎসব আসলেই কোন না কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এক শ্রেণীর মানুষেরা ঘটিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করে অতএব শক্ত হাতে এসব অপশক্তিকে মোকাবেলা করে এদের কালো হাত ভেঙে দেওয়ার জন্য যুব সমাজকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

পরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবীয় একজন ব্যক্তিত্ব তিনি সকলের কথা মন দিয়ে শ্রবন করে এবং মাতৃস্নেহে ও তার কাছে কোন অভাব নাই।

তিনি সর্বদাইর সংখ্যালঘুদের প্রতি উদার মনোভাব নিয়েই থাকেন। এবং সংখ্যালঘুদের বিপদে আপদে পাশে থেকে সবকিছু মোকাবেলা করার জন্য তিনি প্রস্তুত।
তিনি এ সময় আরো বলেন সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ নাই সংখ্যালঘু আমরা নয় আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠই বটে আমাদের মনোবল অধিক আমরা মানুষের সেবা করতে জানি দেশকে ভালবাসতে জানি তাই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র রাষ্ট্রয় প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

তিনি এ সময় বিশেষ উক্তি উল্লেখ করে বলেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। আমরা আমাদের নিজেদের শত্রু নিজেরাই। অতএব আমরা আমাদের সাথে শত্রুতা না করে প্রতিনিয়ত সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ ধর্মের স্রষ্টার প্রার্থনা করে যেন বলতে পারি হে ঈশ্বর আপনি আজকের দিনটাও আমাদের সুন্দরভাবে দান করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তিনি আরো বলেন একাত্তরের বিভীষিকাময় স্মৃতি আমায় এখনো কাঁদায় আমার বাবা মা নাই আমি নিঃস্ব আমার গায়ে এখনো মা মাটির গন্ধ লেগে আছে।
তাই আজকের দিনে সকল শহীদ ও বিরঙ্গনাদের প্রতি জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।

আমার সাথে সকল সংগঠনিক কর্মীদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান সংগঠনের সকল কর্মীদের সংগঠনিকভাবে মজবুত হতে হবে এবং মজবুত অবস্থান গড়ে তুলতে একত্বতার কোন বিকল্প নাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা মহানগর শাখার বিশেষ বিশেষ নেতৃবৃন্দ।