শাকিল আহম্মেদ : সরকারী স্থাপনা থানা ভবনে কোন প্রকার হামলা,সংঘর্ষ না হলেও গত ৬ দিন ধরে স্বাভাবিক হয়নি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম।তাদের নানা দাবী দাওয়ার মুখে প্রায় ৬ লাখ বাসিন্দা ও শতাধিক শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্টরা রাজধানী লগোয়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়নের পর থেকে সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলমান।তবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সরকারী স্থাপনা ও ভবনগুলো অক্ষত রয়েছে।তবে দূর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া ও হামলা করায় জনজীবনে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। এমনকি তারাবো পৌর ভবনে হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন রূপগঞ্জের সাধারণ বাসিন্দারা।ফলে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের সেবা বঞ্চিত হয়ে আছেন। তবে পুলিশের নিরাপত্তায় স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ থানা এলাকায় পাহাড়া বসিয়েছেন।
সেবা প্রত্যাশী ভোলাবো থেকে আসা নাঈম বলেন, থানায় আসলাম। সার্ভার কাজ করে না আর জনবল কেউ নাই। তাই ৩ দিন পর আসতে বললো।অপর সেবা প্রত্যাশী বীর হাটাবোর বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, থানার গেইটে তালা দেখে হতাশ হয়েছি। বহুক্ষণ ডাকলেও দেলোয়ার নামের রেডিও অপারেটরকে ডাকলে খারাপ ব্যবহার করে।এ সময় এএসআই জাকির হোসেন পুলিশ নাই বলে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয় এদিকে থানা পুলিশকে কাজে ফেরাতে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও যুবদল নেতারা থানা এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছেন। উপজেলা যুব দল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম বলেন,রূপগঞ্জের সরকারী সবগুলো স্থাপনা অক্ষত রাখার জন্য আমরা গত ৫ তারিখ থেকেই মাঠে ছিলাম। বিএনপির পরিচয় দিয়ে কেউ কোন হামলা করে থাকলে তার বিচার হবে। আমরা যুবদল শুরু থেকে থানা ভবন,সাবরেজিস্টার ভবনসহ সবগুলো রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় কাজ করেছি৷ ফলে রূপগঞ্জ পুরোপুরি শান্ত। তাই পুলিশ সদস্যদের আশ্বস্ত করতে চাই,আপনারা কাজে ফিরুন। সবাই মিলে থানা পুলিশের পাশে থেকে রূপগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবো।
এদিকে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার পুলিশদের কাজে ফেরার নির্দেশনা দিলেও নিরাপদ পরিবেশের অভাবে তারা কাজে ফিরছেন না।তবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ক্যাম্পের একটি সেনাবাহীনি টহল টীম নিয়মিত রূপগঞ্জ থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তায় সেনা সদস্য ক্যাপ্টেন রিয়াদ হোসেনের নেতৃত্বে কাজ করতে দেখা গেছে।আর সংকট সমাধান আশ্বাস দিয়েছেন রূপগঞ্জ থানা তদন্ত ওসি যোবায়ের হোসেন। তিনি বলেন,নাগরিক নিরাপত্তায় কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার। আমরা এখনো সেনাবাহিনীর কাছে সব অস্ত্র জমা দিয়ে রেখেছি। তবে শীঘ্রই সআ পুলিশ কাজে ফিরবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা। এ সময় তিনি আরও বলেন, বাধ্য হয়েই সেবা পেতে আশা লোকজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে বলছি। এতে অনেকেই স অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন। এতে কোন সদস্যের দূর্ব্যবহার দুঃখজনক।
নাগরিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ইতোমধ্যে সর্বদলীয় সভা করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।এতে পরিবেশ অনেকটাই শান্ত।তবে থানা পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সাধারণ নাগরিকরা।
আরও খবর...