ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে রাজস্ব আয় ব্যাপক পরিমাণে কমে গেছে। বুধবার আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার তেল রপ্তানির আয় প্রায় ৪২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রুশ জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দেশটি গত মাসে তেল রপ্তানি থেকে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ ও অস্ট্রেলিয়াও রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল।
গত সাত মাসে রাশিয়া জ্বালানি পণ্য রপ্তানি থেকে যে আয় করেছে তা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ কম। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটি জ্বালানি পণ্য থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আয় করেছিল। আর গত জানুয়ারি মাসেও দেশটি ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি পণ্য রপ্তানি করেছিল; যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেশি।
আইএই বলছে, রাশিয়া এখনও বিশ্ব বাজারে ‘প্রায় একই পরিমাণ’ তেল রপ্তানি করছে। সংস্থাটি বলছে, জি৭ জোটের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি পণ্যের সরবরাহ সীমিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর না হলেও রাশিয়ার রপ্তানি থেকে রাজস্ব আয়ের সক্ষমতা হ্রাস করেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার তেল রপ্তানি প্রত্যেক দিন ৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে কমে ৫ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির জ্বালানি পণ্যের চালান বিশাল পরিমাণে কমে যাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে রাজস্ব আয়।
বৈশ্বিক এই জ্বালানিবিষয়ক সংস্থা বলেছে, সাম্প্রতিক ট্যাঙ্কার ট্র্যাকিং তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়— মস্কো পূর্বে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত বেশিরভাগ ব্যারেল এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের নতুন গন্তব্যে পুনরায় পরিবহন করতে সক্ষম হয়েছে।
‘দেশটি জ্বালানি পণ্য পরিবহনের পরিমাণ ধরে রাখতে তুলনামূলকভাবে সফল হয়েছে। তারপরও রাশিয়ার তেলের আয়ে আঘাত এসেছে।’
সূত্র: এএফপি।
Leave a Reply