আমতলী ,বরগুনা প্রতিনিধি : ব্যবসার জন্য ৬০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী তানিয়াকে স্বামী সান্টু চৌকিদার মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্ত্রী তানিয়া আক্তার এমন অভিযোগ করেছেন। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে তালতলী উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামে।
জানাগেছে, ২০১৮ সালে আমতলী উপজেলার তারিকাটা গ্রামের আলতাফ হাওলাদারের কন্যা তানিয়াকে পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের নশা চৌকিদারের ছেলে সান্টু চৌকিদারের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে নানা অযুহাতে স্বামী সান্টু স্ত্রী তানিয়াকে মারধর করে আসছে। ওই দম্পতির ঘরে তিন বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ব্যবসা করবে বলে গত এক মাস আগে স্ত্রী তানিয়াকে তার বাবার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। কিন্তু গরীব বাবা আলতাফ হাওলাদারের পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্দ হয় স্বামী সান্টু। শনিবার সকালে স্ত্রী তানিয়াকে লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে। মারধরে তানিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। খবর পেয়ে তানিয়ার বাবা আলতাফ হাওলাদার মেয়েকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত স্ত্রী তানিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা অযুহাতে আমার স্বামী আমাকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। গত এক মাস পুর্বে ব্যবসা করবে বলে আমাকে আমার বাবার বাড়ী থেকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। আমি এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তানিয়ার বাবা আলতাফ হাওলাদার বলেন, জামাতা সান্টু চৌকিদার আমার মেয়ের কাছে ব্যবসা করবে বলে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। আমি গবীর মানুষ এ টাকা দিতে পারি নাই। পরে আমার মেয়েকে মারধর করেছে।
স্বামী সান্টু চৌকিদার যৌতুক দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, তানিয়ার হাতে কনইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
তালতলী থানার ওকি মোঃ শহীদুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।