মোঃ রিপন হোসেন ফুলতলা খুলনা ঃ যোগিপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও ৩৩নং ওয়ার্ড(যোগিপোল ইউনিয়ন) যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আরিফ হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যোগিপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর মো. মামুন শেখ(৩৪) ও শলুয়ার পাহাড়পুরের ইমন শেখ(১৯)কে পুলিশ আটক করেছে। গতকাল গভী রাতে মামুন শেখকে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ খানাবাড়ীস্থ তার বাড়ীর সামনে থেকে আটক করে। অপরদিকে ইমন শেখকে ১২ জুলাই শলুয়া বাজার থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের একধিক সুত্রে জানাগেছে, সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. আরিফ হোসেন হত্যাকান্ডের বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে । পুলিশের হাতে আসা তথ্য নিয়ে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যোগিপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মো. মামুন শেখকে ১৩ জুলাই দিবাগত রাতে খানাবাড়ীস্থ তার বাসভবন থেকে আটক করে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। আটকৃত মামুন শেখকে গতকাল ১৪ জুলাই খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ ১২ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শলুয়া বাজার থেকে ইমন শেখকে আটক করে। ইমন শেখ শলুয়ার পাগাড়পুর গ্রামের সোবহান শেখের পুত্র। ১৩ জুলাই একই আদালতে ইমন শেখ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এস আই মো. মিনহাজুল ইসলাম জানিয়েছে, আরিফ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মো. মামুন শেখ নামের একজন ওয়ার্ড মেম্বর ও ইমন শেখ নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি জানান, আরিফ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এর আগে গত ২৫ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আড়ংঘাটা থানাধিন বাইপাস থেকে সন্দেহভাজন হিসাবে শলুয়া গ্রামের দুলাল সরকারের পুত্র সুজন সরদারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে থেকে একটি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে।
যোগিপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও ৩৩নং ওয়ার্ড(যোগিপোল ইউনিয়ন) যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আরিফ হোসেন(৪০)কে গত ২৪ জুন সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় আড়ংঘাটা থানাধিন কুয়েট পকেটগেটস্থ খানাবাড়ী আরিফ হোসেনের বাড়ীর সামনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। আরিফ বাসার সামনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিল। এ সময় ফুলবাড়ীগেটের দিক থেকে মোটরসাইকেল যোগে হেলমেট পরিহিত ৩ দুবৃর্ত্ত তাকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলিবৃদ্ধ হয়ে আরিফ হোসেন রাস্তার পাশে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তার মাথার বাশ পাশের কানের ধারে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। পার্শবর্তিরা এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা তাদেরকে লক্ষ করে ফাকা গুলি ছুড়ে তেলিগাতী বাইপাসের দিকে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে(মামলা নং—১০ তাং—২৫/৬/২৪)।
আরও খবর...