জেমস আব্দুর রহিম রানা : যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আদায় করে হলেও তা কর্তৃপক্ষের গোচরে নেই। ফলে মোটরসাইকেল খোয়া গেলে ক্ষতিপূরণ কে দেবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সরেজমিনে জানা যায়, যশোর শহরের গরীবশাহ মাজারের পাশে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করেন। গড়ে প্রতিদিন দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ মোটরসাইকেল আরোহী এই দপ্তরে আসেন। আবার দলিলের চাপ বেশি থাকলে মোটরসাইকেলের সংখ্যা তিনশ’ও ছাড়িয়ে যায়। কাজের প্রয়োজনে রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে প্রবেশ করলেই মোটরসাইকেলপ্রতি দিতে হয় ২০ টাকা করে। একটি চক্র রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরকে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে পরিণত করে এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইউসুফ আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, এখানে যে মোটরসাইকেল রাখি তার কোন রোদ-বৃষ্টির সুরক্ষা নেই। আবার সরকারি অফিসের সামনে। জায়গাটাও খুব কম। অথচ এখানেই একটি চক্র ব্যবসা করে যাচ্ছে। অনেক সময় প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে ৫ থেকে ১০ বারও আসতে হয়। প্রতিবারই ২০ টাকা করে দিয়ে যেতে হয়। মামুন হোসেন নামে আরেকজন জানান, এখানের নিয়ম বুঝতেছি না। একটা সরকারি অফিসের সামনে গাড়ি রাখলেই ২০ টাকা দিতে হয়। আবার ৫ মিনিটের জন্য রাখলেও ২০ টাকা। কোনভাবে এখানে আসার মত নেই। তবে এখানে সবাই কাজ করে চলে যায়। টাকা আদায়কারী রফিকুল ইসলাম জানান, অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সিকিউরিটি দিয়ে রাখছি। আর এ কারণে মোটরসাইকেল প্রতি ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে এ টোকেন বা কার্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।
দলিল লেখক শামিম হোসেন জানান, কয়েক মাস ধরে মোটরসাইকেল রাখলে ২০ টাকা করে নেয়া হয়। বিশেষ করে আমাদের সবার জন্য একটা সুবিধা। কারণ গাড়ি গুলো লাইন মতো থাকে এবং চুরি হওয়ার ঝুকি থাকে না। এ অর্থ যারা পাহারা দিচ্ছে তারাই নেই।
যশোর ডিষ্টিক রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু তালেব বলেন, মোটরসাইকেল রাখার বিনিময়ে যে টাকা নেওয়া হয় এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। এ বিসয়ে আমার অনুমতিও নেই। টোকেন কার্ডে কর্তৃপক্ষের কথা উল্লেখ করেছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে একটা বিষয় বলতে পারি আমি গাড়ি নিয়ে ঢোকার সময় কয়েকদিন আগে কোন পথ ছিল না। তাই আমি বলছিলাম মোটরসাইকেল গুলো সাইজ করে রাখার ব্যবস্থা করতে। তবে আমার জানা মতে এখানে কোন কোন দিন সাড়ে ৩’শ মোটরসাইকেল আসে আবার এক দেড়’শও আসে। গাড়িতে যে ২০ টাকা উঠায় এটাকা সরকারি কোন খাতে জমা হয় না। আর এ বিষয়ে আমিতো জানিই না। জানলে তো বলা যেত কে কিভাবে এবং কার নির্দেশে টাকা উঠাচ্ছে। তাহলে আমি বলবো কি করে।
আরও খবর...