জাহিদ হাসান,বান্দরবান প্রতিনিধি: লামা উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ সাড়ে ১০টায় উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তফা জাবেদ কায়সার।সভায় আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনায়, এলাকায় গরু কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি অপ-সাংবাদিকতার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সভায় প্রেসক্লাব সেক্রেটারী বলেন, চিহ্নিত কয়েকজন ভূঁইফোড় সাংবাদিক পেশাদার সাংবাদিকদের সুনাম নষ্ট করছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে ইতিমধ্যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। লামা উপজেলার বাহিরের ও গুটি কয়েক স্থানীয় নেশাখোর, লম্পট, মাতাল চোর প্রকৃতির লোক; গলায় সাংবাদিকতার কার্ড লাগিয়ে যেখানে সেখানে চাঁদাবাজি করে চলছে। তাদের আচরণে বিভিন্ন মহল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক নাম ধারণ করা এ সব নেশাখোর চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে প্রস্তাব আনেন।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তবিদ রহমান বলেন, “আমাদের কাছেও এই ধরনের ইনফরমেশন আছে।স্বেচ্ছাসেবী সাংবাদিক, রিপোর্টার এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তার লাভ করেছে। দেশব্যাপী অপ-সাংবাদিকতা লক্ষণীয়।” এই ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ পক্ষ আইনের আশ্রয় নিতে পারেন বলে মন্তব্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে তালিকা দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন’। গরু পরিবহনের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, একদা এই এলাকায় গাছ কেন্দ্রীক সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ ছিল, বর্তমানে সেটি গরু কেন্দ্রকতা লাভ করেছে। সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায়, দুরাচার করে পেশাদার সাংবাদিকদের মান ক্ষুন্ন করে চলছেন এই চক্রটি।
আইন শৃঙ্খলা সভায় সাংবাদিক নেতারা আরো বলেন, “ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের ব্যপারে প্রশাসন যদি চুপ থাকে, তবে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের কাছেও আমরা সাংবাদিকদের নিয়ে কোনো বিরুপ মন্তব্য শুনতে চাইনা”।আসন্ন ঈদুল ফিতরে সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট মহলগুলোকে অধিকতর সজাগ থাকার জন্য বলা হয়।শেষে মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।