মাসুদ রানা, ময়মনসিংহ সদর প্রতিনিধি: “দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে ময়মনসিংহে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে “জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকবিরোধী/ নৈতিকতার অবক্ষয় ও বিপদগামীতা রোদকল্পে যুবদের ভূমিকা” শীর্ষক জনসচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর টাউন হল মোড়ের জেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞার সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মোছাঃ ফউজিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ মাহফুজুল আলম মাসুম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খোরশিদ আলম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সরকারী পরিচালক নূর মোহাম্মদ, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর মোঃ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন-মাদক এখন বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের অন্যতম একটি মারাত্মক সমস্যা। বর্তমানে শহর ছাড়িয়ে এই মাদক পাড়াগাঁয়েও পৌঁছে গেছে। এসব মাদক সেবনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল ‘ইয়াবা’ সেবনকারী। তাই নেশার সাথে জরিয়ে যাবার আগেই আমাদের খেয়াল রাখা উচিৎ। যাতে করে আমাদের সন্তানরা নেশার জগতে পা বাড়াতে না পাড়ে। সন্তানের প্রতি একটু মনোযোগী হলেই নেশা থেকে তাকে দূরে রাখা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সবচেয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার। কেননা, প্রতিটি পরিবার হল মানুষের প্রথম পাঠাগার। জীবন গড়ার সব কিছু এই পাঠাগার থেকে মানুষের প্রথম শিক্ষা। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সু-শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করতে পারে। সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে মাদকের ভয়ংকর ভূমিকা সম্পর্কে। সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যুগপোযোগী আইন প্রয়োগও জরুরি। সেই সাথে থাকতে হবে ভ্রাম্যমান আদালত সহ নানাবিধ কার্যক্রম। সেবনকারীর শাস্তি যতটুকু হয়, তার চেয়ে ২০ গুণ শাস্তি যেন হয় মাদক ব্যবসায়ীর। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমাদের সমাজকে রক্ষায় আমাদের নিজেদের থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের মুক্ত ভাবে আলোচনাই পারে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে। তাই আসুন সবখানে সব অবস্থায় মাদককে না বলি। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে সমাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ মাহমুদুল হাসানসহ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।