ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার পর রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু সময়ের ব্যবধানে পরপর ছবি ও ভিডিগুলো পোস্ট করা হয়।
রাজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এসব ছবি ও ভিডিও ২০ মিনিটের মতো ছিল। এরপরই সব পোস্ট ডিলিট করে ফেলা হয়। তবে ডিলিট করার আগেই ছবি ও ভিডিওগুলো অনেকের নজরে এসেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
এ বিষয়ে সোমবার দিবাগত রাতেই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে এক ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন সুনেরাহ। একইসঙ্গে এই ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সুনেরাহ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থেকে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমাদের দেখা হলো। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সাথে একটা ছবি তোলা কী এমন অপরাধের বিষয়! তার স্ত্রী (পরীমণি) কোনো কারণ ছাড়াই এটা নিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেল।’
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো নিয়ে সুনেরাহ’র ভাষ্য, ‘যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘‘ন ডরাই’’ সিনেমার সময়ের। তখন এভাবেই আমরা মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি। যেখানে লিয়াকত আমাকে মারেন ডরাই সিনেমাটা যারা দেখেছেন, তারা জানবেন, মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারবো না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম। ’
পোস্টের শেষে এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে পরীমণির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রাজের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’